জরুরি ভিত্তিতে ফিলিস্তিনের হাসপাতালে ইসরায়েলের বোমা হামলায় হতাহত অসুস্থ-অসহায় মানুষকে চিকিৎসাসেবা ও জরুরি ওষুধ সামগ্রী পাঠাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
টেলিফোনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের জনগণের কষ্ট বোঝেন, ইসরায়েলের হামলায় হতাহত নারী-শিশুদের বেদনা অনুভব করছেন তিনি তার নিজের জীবনের হতাহতের ক্ষত থেকে। শিশু রাসেলের হত্যায় কী বেদনা হয়েছে সেটি প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন। এজন্যই বিশ্ব পরাশক্তিদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেও তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ফিলিস্তিনের নিরীহ অসহায় মানুষের জন্য কথা বলছেন, তাদের চিকিৎসা সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা অতি দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ফিলিস্তিনের আহত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে চাই। এক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ে ওষুধ সামগ্রী পাঠাতে আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে সম্ভব সব চেষ্টাই করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাসেলের হত্যাকারী ঘাতকরা পৈশাচিক মানসিকতার মানুষ। তারা নিষ্ঠুর, ঘৃণ্য ও নিকৃষ্ট। পৃথিবীর অনেক দেশেই অনেক রাষ্ট্রপ্রধানদের হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ইতিহাসের কোথাও সপরিবারে হত্যার নজির দেখা যায়নি। এই হত্যাকাণ্ড একটি প্রতিশোধের হত্যাকাণ্ড। ৭৫’ ও ২১’ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের হোতারা একই। এই হত্যাকাণ্ডে অবশ্যই জামায়াত-বিএনপি’র পূর্বসূরিদের হাত ছিল। কারণ, জামায়াত-বিএনপি’র পূর্বসূরিদের স্বার্থই স্পষ্ট হয়েছে এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং যুগ্মসচিবরা।
সভায় দেশের আগামী শিশুদের রাসেলের মতো করে গড়ে তুলতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।