যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম এবং উত্তর মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের (এনএমআই) জেলার আদালতে মো. ইকবাল (৩৭) নামের এক বাংলাদেশিকে অস্ত্র মামলায় ১৪ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গুয়াম এবং উত্তর মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের (এনএমআই) জেলার অ্যাটর্নি শন এন অ্যান্ডারসন এ রায় দিয়েছেন।
সম্প্রতি গুয়ামের অ্যাটর্নির কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিক ইকবাল রোটা দ্বীপে বসবাস করতেন। তার বিরুদ্ধে আইন বহির্ভূতভাবে আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখার অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাকে নির্বাসন প্রক্রিয়ায় নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
ইকবাল ২০১৬ সালের জুন মাসে সিএনএমআই-অনলি ট্রানজিশনাল ওয়ার্কার (সিডব্লিউ-১) ভিসায় কমনওয়েলথ অব দ্য মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জে (সিএনএমআই) যান। সিডব্লিউ-১ একটি নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ইকবাল বৈধ অভিবাসনের কাগজপত্র ছাড়াই রোটা দ্বীপে থেকে যান। ২০২১ সালের অক্টোবরে ইকবাল বিনা অনুমতিতে অন্যের বাড়িতে প্রবেশ করেন এবং তাদের হত্যার হুমকি দেন। তাকে পরে অনুপ্রবেশ এবং হামলার অভিযোগে স্থানীয় আদালতে অভিযুক্ত করা হয়, তারপর জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
২০২২ সালের মে মাসে ইকবালের কাছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে বলে খবর পায় রোটার পুলিশ। সিএনএমআইয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তারা দ্বীপটির বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালান। ৯ ঘণ্টা পর তারা জঙ্গল থেকে চুরি করা পয়েন্ট ৪০ ক্যালিবারের পিস্তলসহ ইকবালকে আটক করে। এক সপ্তাহ আগে চুরি যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্রটি এক রোটা পুলিশ অফিসারের ছিল।
সিএনএমআই ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক সেফটি, ইউএস ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক এবং ইউএস হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনস এ মামলা তদন্ত করে। উত্তর মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের জেলার সহকারী অ্যাটর্নি অ্যালবার্ট এস ফ্লোরেস জুনিয়র এ মামলার বিচার করেন।