বিএফ–৭ নামের করোনাভাইরাসের নতুন ধরন চীনসহ সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ওমিক্রন বিএফ-৭ অন্য ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে চার গুণ বেশি সংক্রামক বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএফ৭ মূলত বিএ৫ এর একটি সাব ভ্যারিয়েন্ট। এটাকে বলা হয় আর ১৮, অর্থাৎ একজন থেকে ১৮ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত বিশ্বে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে বাংলাদেশের করণীয় শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সভায় এসব তথ্য জানান তিনি।
ডা. আহমেদুল কবির জানান, করোনার নতুন এই ধরণ অন্য ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে এটার সংক্রমণ ক্ষমতা চার গুণ বেশি। এটির আরেকটি ভয়ানক দিক হচ্ছে যে ইনকিউবিশন পিরিয়ড অনেক কম। করোনার নতুন ধরন ভারতেও শনাক্ত হয়েছে। তাই দেশের সব বন্দরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আইসোলেশনে নেওয়া হচ্ছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের নমুনার জেনোমিক সিকোয়েন্সিং করে এই বিএফ–৭ করোনাভাইরাস রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করতে রোগতত্ত্ব রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (আইইডিসিআর) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকার জন্য বলা হয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভার সিদ্ধান্ত উল্লখ করে অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে জনসাধারণের মধ্যে অনীহা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে সচেতনতা ও পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিএফ৭ এর লক্ষণ কেমন হবে, এবিষয়ে তিনি বলেন, করোনার অন্য ধরনের মতোই এর উপসর্গ।
বিএফ৭ এর ভয়াবহতা সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে আমরা এখনও তেমন কিছু জানি না, তবে ভয়ানক বিষয় হচ্ছে টিকা না নেওয়া ব্যক্তির মধ্যে অনেক ভয়াবহ প্রভাব পড়ে। যাদের অন্যান্য রোগ আছে, অন্তঃসত্ত্বা তাদের মধ্যে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।