পেয়ারা সবার কাছে খুবই পরিচিত একটি ফল। এখন প্রায় বছরব্যাপী পেয়ারা পাওয়া যায়। ভিটামিন এ, বি, কে, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাসসহ বহু গুণে সমৃদ্ধ পেয়ারা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী।
কিন্তু সব ধরনের পেয়ারায় কি একই রকম পুষ্টিগুণ থাকে, এমন প্রশ্ন সবার মনেই থাকতে পারে। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে ইদানিং তাইওয়ানের গোলাপি পেয়ারা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
পুষ্টিবিদদের মতে, গোলাপি শাঁসযুক্ত পেয়ারায় পানি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তবে অন্য পেয়ারার তুলনায় শর্করা, ভিটামিন সি এর পরিমাণ অনেকটাই কম। সাদা শাঁসযুক্ত পেয়ারায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি হলেও তা গোলাপি শাঁসযুক্ত পেয়ারার মতো নয়। ভিটামিন এ, সি, ওমেগা ৩, ওমেগা ৬ পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ডায়েটারি ফাইবারের মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মজুত থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গোলাপি শাঁসযুক্ত পেয়ারা ‘সেরা ফল’।
পেয়ারা খাবেন যে কারণে তা হলো
১) রক্তে শর্করার ভারসাম্য রক্ষা করতে
২) হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে
৩) ঋতুস্রাবজনিত ব্যথা লাঘব করতে
৪) পরিপাক ক্রিয়ায় সহায়তা করে
৫) ওজন কমাতে সাহায্য করে
৬) ক্যানসার প্রতিরোধক
৭) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে
৮) দাঁত, ত্বক এবং চুলের জন্য উপকারী