হোলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জন নিহতের ঘটনার পর রাজধানীর গুলশান এলাকায় দূতাবাসগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে সরকার। যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করলে তা ওই দেশের আর্থ-সামাজিক ও বাণিজ্যের ওপর নেতিচাবক প্রভাব পড়ে—এসব কথা বিবেচনায় নিয়ে নিজ উদ্যোগে সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতের চলাচলের সময় পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কিন্তু সরকার এখন ভাবছে, দূতাবাসগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার দরকার নেই। এ জন্য বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তবে কোনো দেশের দূতাবাস যদি মনে করে, তাদের বাড়তি নিরাপত্তা দরকার, তবে সে জন্য তাদের অর্থ খরচ করতে হবে।
সরকার মনে করছে দেশে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন ভালো। তাই বাড়তি নিরাপত্তা নয়; বরং আনসার নিয়ে গঠিত নতুন আর্মড রেজিমেন্ট দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।