পাঠ্যবই নিয়ে যে সন্দেহ-সংশয় তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে শিগগিরই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ওয়েবসাইটে বইগুলোর পিডিএফ কপি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, যে বইগুলো নিয়ে সমালোচনা বা নানা রকম আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেটা দূর করার জন্য আমরা দ্রুতই অনলাইনে পিডিএফ আকারে দিয়ে দেব। হয়তো দু-চারদিনের মধ্যেই সেটা দেওয়া হবে। যাদের আগ্রহ ও সংশয় আছে, তারা যাতে কনটেন্টগুলো দেখতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, যেসব ধারণা করা হচ্ছে, সেগুলো আসলে পাঠ্যবইতে নেই। সেটা প্রমাণ হয়ে যাবে, যখন এগুলো প্রকাশ্যে আসবে।
জানা গেছে, নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের পর পাঠ্যবই পরিমার্জন ও সংশোধনের কাজ করছে সরকার। এ কাজের জন্য একটি তদারকি কমিটি এবং একটি বিষয়ভিত্তিক সমন্বয় কমিটি করা হয়। দুজন সদস্যকে নিয়ে আপত্তি ওঠায় তদারকি কমিটি বাতিল করা হয়েছে। এখন বিষয়ভিত্তিক কমিটির একজন সদস্যকে নিয়েও অভিযোগ তুলছেন বিভিন্ন মহল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিষয়ভিত্তিক সমন্বয় কমিটিতে কোরআন একাডেমি ফাউন্ডেশনের (কাফ) চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানকে কীভাবে যুক্ত করা হয়েছে, তা এনসিটিবির কর্মকর্তারা অবগত নন। তিনি ইসলাম ধর্ম বই পরিমার্জন কমিটিতে থাকলেও এ পর্যন্ত কোনো কাজ করেননি। তাকে কয়েকদিন আগেই কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্তও হয়েছে। যে কোনো সময় এ নিয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি হতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবি সূত্র জানায়, কোনো পক্ষের দাবি বা আন্দোলনের মুখে আবু সাঈদ খানকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বা হচ্ছে, বিষয়টি এমন নয়। তাকে যে বইয়ের কাজের জন্য রাখা হয়েছে, সেখানে তিনি উপযুক্ত নন- এমনটা এনসিটিবি অনেক আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবগত করেছেন।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, আবু সাঈদ খান আমাদের সঙ্গে কাজ করেননি। যখন আমরা জেনেছি, তিনি আমাদের বইগুলোর ধারণার বিরোধী, তখন তাকে বিরত রাখা হয়েছে। খসড়া একটা তালিকা করা হয়েছিল, সেটা কীভাবে ফেসবুকে প্রচার-প্রকাশ হয়ে গেল, তা আমরা জানি না। চূড়ান্ত কাজ করার সময় বিষয়টি যখন জানা গেল; তখন তাকে আর কাজে ডাকা হয়নি।