বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র ও বিএনপি সমান্তরাল। আমরা রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে প্রথমে ২৭ দফা পরে ৩১ দফা দিয়ে লড়াই-সংগ্রাম করেছি। অনেক রিকশাচালক ভাই গ্রামে থাকতে পারেননি। তারা শহরে চলে এসেছেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গণঅভ্যুত্থানে আমাদের সামনে একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সুযোগ এসেছে। আপনারাই হলেন গণতন্ত্রের পাহারাদার বা ভ্যানগার্ড। আবারও যদি কেউ ধ্বংস করতে চায় আপানারা রুখে দাঁড়াবেন। এই অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব- এখনো সরকারের প্রশাসনে স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা বসে আছে। তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সমাবেশ পরিচালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ঢাকা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুলসহ বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী। ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত আছেন।