ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে ঈদ-পূর্ব যানজট ও যাত্রীদুর্ভোগ কমাতে সওজের সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন প্রকল্প-২ (সাসেক)-এর কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের তাগিদ দিয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এই তাগিদ দেওয়া হয়।
সভায় ড্রোনে ধারণকৃত ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের ১৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ও এবড়োখেবড়ো অংশের ভিডিও প্রদর্শন করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। এ সময় আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে মহাসড়কের এসব ঝুঁকিপূর্ণ অংশ দ্রুত সংস্কার বা মেরামতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সময় বেঁধে দেন সাসেক প্রকল্পের কর্মকর্তারা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর আকতার লিমিটেড ও আব্দুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপকদের পাশাপাশি সওজ, বিবিএ ও সাসেক প্রকল্পের কর্মকর্তারা সভায় ছিলেন। ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে ঈদ-পূর্ব দুর্ভোগ হ্রাসে পারস্পরিক আলোচনায় পুলিশের পক্ষ্য থেকে তাঁদের আগাম আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সভায় বলা হয়, গত কয়েক বছর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে সিরাজগঞ্জের ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে চার লেন রাস্তার সম্প্রসারণ কাজ চলছে। এতে কৌশলগত দেরির পাশাপাশি চলমান মেরামত কাজের কারণে গত ঈদের সময় বিড়ম্বনায় পড়েন উত্তরাঞ্চলগামী যাত্রীরা। থেমে থেমে যানজট ও যানবাহনের ধীরগতির কারণে যাত্রীদের হাঁসফাঁস শুরু হয়। পার্শ্ববর্তী ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কেও একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। যানবাহন নিয়ন্ত্রণে বিপাকে পড়ে জেলা ট্রাফিক পুলিশ। এবারও একই ধরনের পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে চালক-যাত্রীদের। তাই সচেতনতা সৃষ্টিতে পুলিশের পক্ষ থেকে মতবিনিময়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল বলেন, ঈদযাত্রায় যাত্রী দুর্ভোগ কমানোর জন্য সওজের সাসেক-২ প্রকল্পের তদারিক কর্মকর্তা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীদের পদক্ষেপ জানতে তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানে মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো সংস্কারে আগাম তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তাঁরা উদ্যোগী হবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ১৫ রমজানের মধ্যে তাঁরা মাঠ পর্যায়ে উদ্যোগী হলে হয়তো এবার দুর্ভোগ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তারপরও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ স্থানে বিশেষ পাহারাসহ নজরদারির ব্যবস্থাও থাকবে।