শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
spot_img
Homeসারা বাংলাবেগম রোকেয়ার জন্মভিটায় কাউফল

বেগম রোকেয়ার জন্মভিটায় কাউফল

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বেগম রোকেয়ার জন্ম ভিটায় বিরল কাউফল গ্রীষ্মের তপ্ত রোদে দোল খাচ্ছে। এই ফলকে কেউ কেউ কাউয়া, কাগলিচু, তাহগালা, ক্যাফল, কাউ-গোলা ইত্যাদি বলে ডেকে থাকেন। সচরাচর এই ফল সাধারণত দেখা যায় না। গত সোমবার বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রের পুকুর পাড়ে সিড়ি সংলগ্ন এই গাছ এবং ফলের দেখা মিলে।

কাউফল সম্পর্কে জানা গেছে, কাউ মাঝারি আকৃতির বৃক্ষ। এর ডালপালা কম, ওপরের দিকে ঝোপালো। গাছের রং কালচে। এটি টক স্বাদের ফল। সাধারণত জঙ্গলে এই গাছ দেখা যায়। ফল কাচা অবস্থায় সবুজ ও পাকলে কমলা বা হলুদ হয়। ফলের ভেতর চার-পাঁচটি দানা থাকে। দানার সঙ্গে রসালো খাওয়ার যোগ্য অংশ থাকে, যা চুষে খেতে হয়। কাউফল খেলে দাঁতে হলদেটে কষ লেগে যায় বলে ফলটি অনেকের পছন্দ নয়। ফলের আকার লিচুর সমান বা সামান্য বড় হয়। এখন আর একে আগের মতো পাওয়া যায় না। বাংলাদেশ, ভারত, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ চীন, লাওস, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ইত্যাদি দেশে কাউগাছ দেখা যায়। ফল হিসেবে সরাসরি খাওয়া ছাড়াও কাউ দিয়ে জ্যাম তৈরি করা হয়। কাউগাছের কষ থেকে রং ও বার্নিশ তৈরি হয়। কাউগাছের ছাল-খিঁচুনি রোগের জন্য এবং ফল আমাশয় ও মাথাব্যথার জন্য ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। গাছে ফুল ধরে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে। আর ফল পাকে জুন-জুলাই মাসে। ফল গোলাকার, অনেকটা টেবিল টেনিস আকৃতির কিন্তু খাঁজযুক্ত। বীজযুক্ত এসব দানা রসালো ও মুখরোচক।

বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাংলা একাডেমির সহকারী সম্পাদক আবিদ কমির মুন্না কাউফল এবং গাছ প্রসঙ্গে বলেন, রংপুর গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাহবুব হোসেন বগুড়া থেকে বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র প্রকল্পের কাজ চলাকালীন ২০০৪ সালে কাউফলসহ সেই সময় ডেউয়া, চালতার চারাসহ বেশকিছু বিরল উদ্ভিদের চারা নিয়ে আসেন। কাউফলের চারা স্মৃতিকেন্দ্রের পুকুরঘাটে সাবেক উপপরিচালক আবদুল্যাহ আল ফারুকের নেতৃত্বে সহকর্মীদের নিয়ে রোপণ করেছেন।

পর্যালোচনা সংক্ষিপ্ত বিবরণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন