আগামী শুক্রবার ( ১১ নভেম্বর) যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুব মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ইতিমধ্যে বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবারের প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাজধানীতে বড় ধরনের শোডাউন করবে যুবলীগ। এদিন রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহাসমাবেশ করবে তারা। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতিমধ্যে মহাসমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই সহযোগী সংগঠন।
আগামীকাল বুধবার (৯ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিস্তারিত প্রস্তুতির বিষয় গণমাধ্যমকে তুলে ধরা হবে। এদিকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনটি দাবি করেছে, যুব মহাসমাবেশে সারা দেশ থেকে ১০ লাখের বেশি লোক অংশ নেবে। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, সংগঠনের নেতারা ও দূরদূরান্ত থেকে আসা নেতাকর্মীদের বেশিরভাগই আগেভাগে চলে আসবেন। সবাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করবেন। ওই দিন শুক্রবার হওয়ায় জুমার নামাজ সম্মেলনস্থলেই আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে।
তারা আরো জানান, ধর্মপ্রাণ মুসলমান শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করেন। সে ক্ষেত্রে সমাবেশে অংশ নিতে আসা বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য নামাজের ব্যবস্থা না হলে জুমার সময় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে মহাসমাবেশ মাঠেই তারা জামাতের ব্যবস্থা রেখেছেন। অবশ্য চাইলে কেউ বাইরে গিয়ে তাদের সুবিধামতো মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘সারা দেশ থেকে আমাদের লাখ লাখ নেতাকর্মী মহাসমাবেশে অংশ নেবেন। অনেকে সকালেই সেখানে প্রবেশ করবেন। বিষয়টি চিন্তা করে আমরা সমাবেশস্থলেই জুমার নামাজ জামাতে আদায়ের ব্যবস্থা রেখেছি। অবশ্য যদি কেউ চান বাইরে গিয়ে নামাজ পড়তে, সেই সুযোগও থাকবে।’