তিন মাসের ব্যবধানে দুই কাণ্ডারিকে হারিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। ফলে এবার প্রধান নির্বাচনের বিষয়ে নতুন কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চেইন অব কমান্ডে পরিবর্তন আনছে হামাস। ফলে তারা আপাতত কোনো নতুন প্রধান নির্বাচন করছে না। এক্ষেত্রে কৌশলী হয়েছে তারা।
গোষ্ঠীটির একাধিক উচ্চপর্যায়ের সূত্রের বরাতে এএফপি জানিয়েছে, ইয়াহিয়া সিনওয়ারের শাহাদাতের পর আমরা হামাসের চেইন অব কমান্ড নিয়ে নতুন চিন্তা করছি। কাতারে হামাসের যেসব শীর্ষ নেতারা রয়েছেন তাদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে নিয়ে গত সেপ্টেম্বরে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। আপাতত এ গোষ্ঠীটিই দলের নীতিনির্ধারণী সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে।
সূত্র জানিয়েছে, যাবতীয় শর্ত অনুকূলে থাকলে আগামী মার্চে অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা প্রধান নেতা বেছে নেব। পরিস্থিতি প্রতিকূল হলে তা আরও পেছাতে পারে। তবে নির্বাচনের আগে ৫ সদস্যের কমিটিই দলের নির্বাহী দায়িত্বে থাকবে।
গত আগস্টে হামাসের পলিটব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হন। তার মৃত্যুর পর শীর্ষ ৫ নেতার সমন্বয়ে দলের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে প্রধান নির্বাচন করা হয়। কমিটির সব সদস্য কাতারে বসবাস করছেন।
গত ৩১ জুলাই ইরানে সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হন। এরপর গত ৭ আগস্ট নতুন প্রধান হন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তিনি এর আগে হামাসের গাজার প্রধান ছিলেন। সম্প্রতি ইসরায়েলি হামলায় তিনিও নিহত হয়েছেন।
হামাসের এ কমিটিতে থাকা পাঁচ নেতার চারজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- খলিল আল হায়া, খালেদ মেশাল, মোহাম্মদ দারউইশ এবং জাহের জাবারিন। তাদের মধ্যে গাজা ও পশ্চিম তীরের প্রতিনিধি হলেন খলিল আল হায়া ও জাহের জাবারিন। এছাড়া খালেদ মিশাল হামাসের শীর্ষ নেতা ও দক্ষ লিয়াজোঁ কর্মকর্তা। মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য মিত্র দেশ ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ও লিয়াজোঁর বিষয়ে তিনি দেখভাল করেন। এছাড়া অপর নেতা মোহাম্মদ দারউইশ গোষ্ঠীটির নীতিনির্ধারণী ফোরাম শূরা কাউন্সিলের সদস্য।
সবশেষ হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর বিভিন্ন মহলে নানা আলোচনা চলছিল। এমনকি প্রধান হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তির নামও আলোচনায় ছিল। এমন পরিস্থিতির মধ্যে সবশেষ গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।