ইসরায়েলি স্থল বাহিনীর ওপর রকেট নিক্ষেপ করেছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকালে ইসরায়েলি সীমান্ত শহর মেটুলায় ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে রকেট ছুড়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রকেটের একটি ব্যারেজ উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এর ২৫ মিনিট আগে আর্টিলারি ফায়ার করে ইসরায়েল। আইডিএফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তাদের দাবি, সীমান্ত এলাকায় বেশ কয়েকটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়, যা প্রায় পাঁচটি উৎক্ষেপিত রকেট শনাক্ত করে। কিছু রকেট আকাশেই ধ্বংস করা হয়। কিছু খোলা ভূমিতে আঘাত করে দুর্ঘটনা ঘটায়।
সোমবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উত্তরের মেটুলা, মিসগাভ আম এবং কাফার গিলাদির আশপাশের এলাকাগুলোকে ক্লোজ মিলিটারি জোন ঘোষণা করে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। সেখানেই হামলা করে হিজবুল্লাহ। যদিও তা সফল হয়নি বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে দক্ষিণ লেবাননে প্যারাট্রুপের মাধ্যমে কমান্ডো নামিয়েছে ইসরায়েল। সেখানে বড় ধরনের সংঘাতের খবর জানিয়েছে রয়টার্স। এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাত থেকে সেখানে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। সীমান্তের ওপার থেকে আর্টিলারি ফায়ারের আওয়াজে প্রকম্পিত পুরো এলাকা। সকাল নাগাদ লেবাননের সেনাবাহিনী যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে পিছু হটে। তবে এখনো একের পর এক বিস্ফোরণ হচ্ছে।
এদিকে হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহতের পর প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির উপপ্রধান নাঈম কাসেম। ওই ভাষণে তিনি যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়ে বলেন, ইসরায়েলের স্থল হামলা রুখে দিতে তারা প্রস্তুত। তিনি যে কোনো পরিস্থিতিতে ইহুদিদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন।
অপরদিকে মিত্রদেশের সহযোগিতায় ইরানের এগিয়ে আসার সম্ভাবনা ধীরে ধীরে প্রবল হচ্ছে। ধারণাটির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রও সজাগ। তারা আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছে, লেবানন-ইসরায়েল যুদ্ধে ইরানের হস্তক্ষেপ মেনে নেবে না তারা। ইসরায়েলে হামলা চালালে ইরানকে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।