গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন ২ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশন টিমের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
সেইসঙ্গে শেখ হাসিনা আগে যত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েছেন তা সব মাধ্যম থেকে সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিন সকালে এ আবেদন করা হয়েছে বলে জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান। প্রসিকিউশনের পক্ষে সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়।
বেশ কিছুদিন ধরেই সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কটুক্তি করেছেন শেখ হাসিনা। যা বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। প্রসিকিউশন বলছে, যে সমস্ত হেইট স্পিচ দিচ্ছেন সরকার তা বন্ধেই এ আবেদন।
এর আগে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত কার্যক্রম এক মাসে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনাল।
গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ দেড়শোর বেশি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে। গ্রেপ্তার আছেন শেখ হাসিনার আমলের অন্তত ১০ মন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন এমপি।