খবর বিজ্ঞপ্তি : সম্প্রতি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মাহবুবুর রহমানকে নিয়ে প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক নিজে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে ডা. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানান তিনি।
প্রতিবাদ লিপিতে ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, গত ৬ ডিসেম্বর দৈনিক ইত্তেফাক ও ৫ ডিসেম্বর অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টে “হার্টে রিং পরান একটা, টাকা নেন তিনটার” এবং রংপুরের ডা. মাহবুবুর রহমানের ‘রিং বাণিজ্য’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট, ষড়যন্ত্রমূলক। আমি এই উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, রংপুরসহ দেশবাসীর জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে আমি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকরি গ্রহণের পর থেকে অত্যন্ত সততার সঙ্গে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছি । আমার সার্ভিস লাইফে কোন প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি বা আমার বিরুদ্ধে হাসপাতালে কোনো লিখিত অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি অতীতে। আমি কোনো প্রকার অফিসিয়াল দুর্নীতি বা অনিয়মের জন্য বিভাগীয় শাস্তিও পাইনি।
তিনি আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে ”হার্টে রিং পরান একটা, টাকা নেন তিনটার” অভিযোগ প্রকাশ করা হয়েছে তারও কোনো সত্যতা নেই। আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, হার্টে রিং পরানোর এবং এনজিওগ্রাম করার সময় ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয় সেখানে রোগীর স্বজনকে সেটা দেখিয়ে দেওয়া হয় এবং সিডি করে সেই ডিস্ক রোগীকে দেওয়া হয় সেখানে সবকিছু ক্লিয়ার দেয়া রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের কোন কথা আমি রোগী বা রোগীর লোককে বলি নাই এবং এ পরিমাণের কোন টাকাও তারা দেয় নাই। আমি যা করেছি বা বলেছি তার দালিলিক প্রমাণ তদন্ত কমিটিকে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে রিং পরানো এনজিওগ্রাম সেবা বন্ধ ছিল। দীর্ঘ ৪ থেকে ৫ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে গত ২০২২ সালে রংপুর মেডিকেল এ ক্যাথল্যাব পুনরায় চালু করতে সক্ষম হয়েছি আমরা । কথাটি রংপুর মেডিকেলের সকলের জানা। এ পর্যন্ত আমি ৭’শ এনজিওগ্রাম, ১’শরও বেশি রিং লাগানো এবং ৫০ এরও বেশি পেসমেকার স্থাপন সফলভাবে সম্পন্ন করেছি । আমাদের সফলতা ৯৯.২%.আলহামদুলিল্লাহ।
তিনি বলেন, সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিং পরানো এবং এনজিওগ্রাম খরচ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর ৩ ভাগের ১ ভাগ হওয়ায় কিছু সিন্ডিকেট ও কুচক্রী মহল রোগীর স্বজনকে ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। এই চক্রটি চায় না রংপুরে রোগীরা কম খরচে সেবা পাক। প্রকৃত সত্য হলো, আমার চাকরি জীবনকে বিতর্কিত করা ও মান সম্মানের ক্ষতিসাধন করার জন্য একটি সিন্ডিকেট মনগড়া ওই অসত্য তথ্য উপস্থাপন করেছেন।আর সেই অসত্য তথ্যগুলোর সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে ।
ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, এই সংবাদ প্রকাশের কারণে আমি সমাজে হেয়-প্রতিপন্ন হয়েছি এবং আমার চাকরি জীবন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তাই আমি ওই বিভ্রান্তমূলক সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জনবিভ্রান্তি দূর করার জন্য এই প্রতিবাদটি প্রকাশ করছি।