হাসনাত তুহিন ফেনী প্রতিনিধিঃ-ফেনীর দাগনভূঞা থানা এলাকা ও নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনার মূল হোতাসহ আন্তঃজেলা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের ৬ সদস্য গ্রেফতার ও চোরাইকৃত ট্রান্সফরমারের অংশ বিশেষ, তামার কয়েল ও সরকারী বৈদ্যুতিক তার সহ চোরাই কাজে ব্যবহৃত সিএনজি ও সারঞ্জামাদি উদ্ধার। গত ১৪ জুলাই দাগনভূঞা থানাধীন রামনগর ইউনিয়নের সেকান্দর পুর গ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকায় ইতিপূর্বে চোরাইচক্র কর্তৃক বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় সংঘটিত হয়। এর প্রেক্ষিতে দাগনভুঁঞায় ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, দাগনভূঞা মামলা দায়ের করেন।
ট্রান্সফর্মার চুরির ঘটনায় এজাহার দায়েরের প্রেক্ষিতে নিয়মিত মামলার রুজু পূর্বক ফেনী জেলার পুলিশ সুপার জাকির হাসানের নির্দেশনায় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাগাজী সার্কেল) তছলিম হুসাইন ও দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসান ইমাম এর সার্বিক তত্বাবধানে একটি টিম গঠন করা হয়। তারই প্রেক্ষিতে অফিসার ইনচার্জ, মোঃ হাসান ইমাম ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রাসেল মিয়া এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ)/খালিদুর রহমান, এসআই (নিঃ)/ফরহাদ কালাম সুজন, এসআই (নিঃ)/মোঃ মহসিন, এএসআই (নিঃ)/জামাল উদ্দিন সহ সঙ্গীয় ফোর্সের একটি চৌকশ টিম দাগনভূঞা থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় সাড়াশি অভিযান শুরু করেন।
অভিযান পরিচালনাকালীন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৭ জুলাই দিবাগত রাত অর্থাৎ রাত ০২.৫৫ ঘটিকার সময় দাগনভূঞা থানার নোয়াখালী সীমান্তধীন ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দাগনভূঞা থানাধীন ইয়াকুবপুর ইউপি এলাকায় আসামী মোঃ কামাল(৩১), পিতা-মৃত শাহজাহান, সাং-লালপুর কাশেম এসপির বাড়ী, থানা-সুধারাম, জেলা নোয়াখালী। মোঃ খোকন (৩৫), পিতা-মোঃ আলমগীর, সাং দেয়ালা বিশু মালের বাড়ী, ৭নং ওয়ার্ড, ৭নং চরআলগী ইউনিয়ন, থানা-বোরহান উদ্দীন, জেলা-ভোলা, বর্তমানে সাং-মাইজদী হাউজিং, পানির ট্যাংকির উত্তর পার্শ্বে, রোকেয়া ম্যানশন, নিচতলা, সুধারাম, নোয়াখালী। মোঃ সবুজ (২৭), পিতা-মোঃ আবুল বাশার, সাং-বসুদিহাত, থানা-চন্দ্রগঞ্জ, জেলা-লক্ষীপুরগণ সঙ্গবদ্ধ হয়ে এয়াকুবপুর ইউপি এলাকায় আসামী মোঃ সবুজের চালিত সিএনজি যোগে বৈদ্যুতিক পিলার হতে ট্রান্সফরমার কাটার বিভিন্ন সারঞ্জাম সহ ঘোরাফেরা করা অবস্থায় দাগনভূঞা থানার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ চেকপোষ্ট স্থাপন করে তাহাদের চুরি সংগঠনের জন্য ব্যাগ বোঝাই সারঞ্জাম ও সিএনজি (অটোরিক্সা) সহ আটক করা হয়। আসামীদের আটক পূর্বক জিজ্ঞাসাবাদ কালে তাহারা জানায় তাহাদের চক্রের মূল হোতা জসিম উদ্দিন (৪০), পিতা-মৃত মজিবুল হক, সাং-মাহাতাবপুর, মনগাজী বেপারী বাড়ী, ৬নং ওয়ার্ড, থানা-সেনবাগ, জেলা নোয়াখালী, এপি সাং-হাউজিং বালুর মাঠ,রহিম মিয়ার বাড়ী, জসিম মিয়ার ভাড়াটিয়া, থানা সুধারাম, জেলা নোয়াখালী ও অপর চুরি চক্রের সদস্য সিএনজি চালক ইলিয়াছ(২৬), পিতা-ইসমাইল, মাতা-বুলি বেগম, সাং-শালিপুর(মুসলিম মিয়ার বাড়ী), থানা-সুধারাম, জেলা-নোয়াখালীর মাধ্যমে তাহারা দাগনভূঞা থানা এলাকা হইতে চোরাইকৃত ০৬টি ট্রান্সফরমার সহ ফেনী , নোয়াখালী ও লক্ষীপুর হতে বিভিন্ন সময়ে চোরাইকৃত ট্রান্সফরমার দীর্ঘদিন যাবৎ নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানাধীন হকার্স মার্কেটের পিছনে অপর আসামী মোঃ বোরহান উদ্দিন(২৮), পিতা-আবু তাহের, সাং-ধর্মপুর, ২নং ওয়ার্ড, ৭নং ধর্মপুর ইউপি, থানা-সুধারাম, জেলা-নোয়াখালী এর মাহবুব ট্রেডার্স নামীয় ভাঙ্গারি দোকানে বিক্রি করিয়া আসিতেছিল।
আসামীদের দেওয়া তথ্য মতে নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানাধীন হাউজিং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী জসিম উদ্দিন (৪০) কে অদ্য ১৭ জুলাই ভোর ০৬:০০ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করা হয় এবং নোয়াখালী জেলার শালিপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অদ্য ১৭ জুলাই সকাল ০৬.৩০ ঘটিকার সময় আসামী ইলিয়াছ কে গ্রেফতার করা হয়। আসামীদের গ্রেফতার পরবর্তীতে তাহাদের দেওয়া তথ্যের প্রেক্ষিতে ১৭ জুলাই সকাল ০৮.৩০ ঘটিকার সময় নোয়াখালী সুধারাম থানাধীন হকার্স মার্কেটের পিছনে আসামী মোঃ বোরহান উদ্দীন এর ভাঙ্গারি দোকানে অভিযান পরিচালনা করে দাগনভূঞা থানা এলাকা হইতে চোরাইকৃত ট্রান্সফরমারের অসংখ্য অংশ বিশেষ, ট্রান্সফরামারের কয়েল ও সরকারী বৈদ্যুতিক তার সহ ট্রান্সফরমার কয়েল বিক্রির ১৫,০০০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।