রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় তিস্তা চরাঞ্চলের পতিত জমিতে এবছর পুষ্টিকর লাল শাকের ব্যাপক চাষ হয়েছে। দেখতে অনেকটা লাল কার্পেট মোড়ানো মাঠ।
লাল শাক একটি সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও জনপ্রিয় সবজি। গত বছর এ শাক চাষে সফলতা পাওয়ায় এ বছর বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লাল শাকের চাষ বেড়েছে।
উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের চর চল্লিশ সাল, ইচলী, গঙ্গাচড়া ইউনিয়নের ধামুর, কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা, মটুকপুর এলাকার চরাঞ্চলে দেখা যায় লাল শাকের চাষ। চরের বেলে ও দোয়াশ মাটিতে লাল শাক শোভা বর্ধণও করেছে। জমি থেকেই ব্যবসায়ীরা শাক কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
চল্লিশ সাল চরের কৃষক লাভলু মিয়া (৪৫) জানান, লাল শাক চাষে খরচ কম লাভ হয় বেশি। এছাড়া বাজারে এ শাকের চাহিদা বেশি। তিনি আরও বলেন চরাঞ্চলের অনেকেই লাল শাক চাষ করেছেন।
ইচলি চরের মিথুন রায় জানান, লাল শাকের বীজ নিজেই উৎপাদন করি। এতে শাক উৎপাদনে যেমন সময় কম লাগে তেমন লাভও বেশি হয়। বীজ বপনের ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে শাক বিক্রি করা যায়।
গঙ্গাচড়া উপজেলা কৃষি অফিসার সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম বলেন, লাল শাক একটি সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও জনপ্রিয় সবজি। চাষিরা এখন শাক ও বীজ উৎপাদনে অনেক বেশি আগ্রহী। চরাঞ্চলের কৃষকরা এবছর উচ্চফলনশীল জাতের লাল শাকের আবাদ করেছেন। পরে এসব শাক থেকেই বীজ উৎপাদন করবেন তারা।