মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের বালুরচর ইউনিয়নে হাউজিং ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসকান্দি বেগম বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষ চলে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এ সময় ৪টি বসতবাড়ি,পুলিশের ৩টি মোটরসাইকেল ও ১টি পিকআপ ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে চারজন টেঁটাবিদ্ধ ও শাহিনুর নামে পুলিশের এক কনস্টেবলসহ সাতজন আহত হয়েছেন। টেঁটাবিদ্ধরা ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আহত কনস্টেবলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বালুরচর ইউনিয়নে হাউজিং ব্যবসাকে কেন্দ্র করে নুজহা সিটির আলী ইসলাম ও দক্ষিণা গ্রিন সিটির সুমন মিয়া গ্রুপের লোকজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। সোমবার সকালে খাসকান্দি এলাকায় দক্ষিণা গ্রিন সিটির একটি স্থাপনা ভেকু মেশিন দিয়ে ভেঙে ফেলে নুজহা সিটির আলী ইসলাম গ্রুপ। বেলা ১১টার দিকে বালুরচর ইউনিয়নের বেগমবাজার এলাকায় টেঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পুরে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পুলিশের উপস্থিতেই ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি ঘরবাড়ি, তিনটি মোটরসাইকেলসহ পুলিশের একটি পিকআপ।
সিরাজদিখান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হাউজিং ব্যবসাকে ঘিরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জড়ানোর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশের একজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। পুলিশের তিনটি মোটরসাইকেল ও একটি পিকআপ ভাঙচুর করেছে। পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য ১৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ব্যবহার করতে হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। ঘটনাস্থল থেকে দুই শতাধিক টেঁটা উদ্ধার করা হয়েছে।