মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা রুশ জাহাজ উরসা মেজরকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে দেওয়া হয়নি। এমন অবস্থার মধ্যে প্রায় দুই সপ্তাহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষা করেছিল জাহাজটি। কিন্তু পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি নয়াদিল্লির অনুমতি পেতে ব্যর্থ হয়। সেজন্য রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য খালাস না করেই ভারতের জলসীমা ছেড়ে গেছে রুশ জাহাজটি।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) জাহাজটি ভারত ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কূটনৈতিক সূত্র।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে রুশ জাহাজটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পণ্য খালাসের অনুমতি পায়নি। যার জন্য জাহাজটি সোমবার (১৬ জানুয়ারি) ভারত ছেড়ে গেছে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, উরসা মেজরকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য ভারতে খালাস না করতে পারার তথ্য বাংলাদেশকে জানানো হয়। সোমবার রাশিয়ার পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়, অন্য জাহাজে করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য বাংলাদেশে পাঠানো হবে।
গত ২৪ ডিসেম্বর রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রং ও নাম বদল করে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা রাশিয়ার একটি জাহাজ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে আসছে—এমন তথ্য নিশ্চিত হয় বাংলাদেশ। পরে জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিষেধ কর হয়। যদিও জাহাজটিকে বন্দরে পণ্য খালাসের অনুমতি দিতে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে রাশিয়া। তবে জাহাজটি বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ।
এ অবস্থায় জাহাজটি ভারতের যেকোনো বন্দরে পণ্য খালাস করে পরে তা অন্য জাহাজে করে বাংলাদেশে আনার প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু জাহাজটি প্রায় দুই সপ্তাহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষা করেও ব্যর্থ হয়।
সূত্র:ঢাকা পোস্ট