প্রায় ছয়মাস পর আবারও সিম বিক্রির অনুমতি পেল দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন (জিপি)। সোমবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর অপারেটরটিকে সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের চিঠি পাঠায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জিপি কর্তৃপক্ষ। ফলে গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে আর কোনো বাধা থাকল না।
এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের সিইও আসির আজমান বলেন, ‘আমরা সিম বিক্রির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তি পেয়েছি। গ্রামীণফোন বিশ্বাস করে যে, সেবার মান সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সিম নিষেধাজ্ঞা একটি অনুপযুক্ত ব্যবস্থা। তবুও ছয় মাস আগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে আমরা নিয়ন্ত্রকের সাথে গঠনমূলক আলোচনা করেছি এবং বারবার বলেছি যে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রাহকদের তাদের পছন্দের স্বাধীন ব্যবহার থেকে বঞ্চিত করে এবং বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বাড়ায়।’
কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, অবশেষে নেটওয়ার্কের উন্নতি নিশ্চিত করার জন্য আমাদের ক্রমাগত প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ব্যক্তিগত এবং কর্পোরেট গ্রাহক উভয়ের কাছেই কৃতজ্ঞ প্রকাশ করেন গ্রামীণফোনের সিইও আসির আজমান। তিনি বলেন, ‘এ সময়ে তাদের মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের বিশ্বাস ও সমর্থন করার জন্য। গ্রামীণফোন মোবাইল প্রযুক্তি এবং বিশ্লেষণের অগ্রগতির সাথে নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করার জন্য বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি মেনে চলবে। তবে আমরা আশা করি, আলোচনার মাধ্যমে সমতল ক্ষেত্র এবং সকল অপারেটরের সাথে সুষ্ঠু ও সমান আচরণ নিশ্চিত করা হবে।’
আসির আজমান বলেন, ‘আমরা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অব্যাহত সমর্থন এবং সহযোগিতা আশা করছি; কারণ মোবাইল সংযোগ দেশের ডিজিটালাইজেশন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’
উল্লেখ্য, কলড্রপ, কথা শুনতে না পাওয়া, ইন্টারনেটে ধীরগতিসহ সেবার মান নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলে গতবছরের জুনে গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সিম বিক্রি করতে না পারায় গত ৫ মাসে গড়ে প্রায় ৭ লাখ করে গ্রাহক হারিয়েছে জিপি। সবমিলিয়ে প্রায় ৩৪ লাখ। এ অবস্থায় গত ২৫ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বিটিআরসিতে আবেদন করে গ্রামীণফোন।