দেশবিরোধী বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে দেশব্যাপী যুবলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ইং, দুপুর ১২টায়, ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জনগণের অধিকার খর্ব করার জন্যই আপনাদের রাজনীতি। জনগণের অধিকার বিচার চাওয়া, আপনারা সেই বিচারের অধিকার জনগণকে দিতে চান না। জনগণের অধিকার গণতন্ত্র, আপনারা সেটা হনন করবেন মাগুরা টাইপ নির্বাচন করে অথবা মিলিটারি শাসন, কার্ফু-এমারজেন্সি দিয়ে মানুষকে শাসন করবেন। আপনাদের প্রত্যেকটা কাজই এদেশের জনগণের বিরুদ্ধে। আমি নিজেইতো একজন ভুক্তভুগি। আপনারাইতো ইনডেমনিটি আইন করে আমার পিতা-মাতার হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করেছিলেন, জাতির পিতার পরিবার হত্যার বিচারের পথ আপনারা রুদ্ধ করে রেখেছিলেন। সুতরাং আপনাদের কপাল ভাল যে যুদ্ধপরাধীদের সাথে জোট করার পরও আপনারা এদেশে রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছেন এখনো। আসলে বিএনপি জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে না। জনগণকে ভীতসস্ত্রস্ত করে ক্ষমতায় যেতে চায়। ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের ব্যাপারে তাদের যে কুমতলব ছিল সেটার প্রমাণ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করবেন সেটা আমরা সহ্য করবো না। ’৭৫-এর পরবর্তী স্বপ্ন ভুলে জান, ২০০১ এর স্বপ্ন ভুলে জান। সেসব দিন চলে গেছে। এখন আওয়ামী লীগ এমন একটা সংগঠন যাকে সারা পৃথিবীর মানুষ সমীহ করে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের কর্মের মাধ্যমে অধিকার অর্জন করেছি যে আমরাই এই রাষ্ট্রের পরিচালনার দায়িত্বও থাকব, থাকা উচিত। আওয়ামী লীগ এদেশের স্বাধীনতা দিয়েছে, আর আজকের আওয়ামী লীগ সরকার এদেশে অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছে। আমরা উন্নয়নের শিখরে চলে গেছি এবং আমরাই এই উন্নয়নের ধারা সমুন্নত ও অব্যাহত রাখব, যে কোন মূল্যে। গণতন্ত্রের নামে সন্ত্রাসতন্ত্র বন্ধ করেন। গণতন্ত্রের নামে অরাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করেন। গণতন্ত্রের নামে আপনারা এখন বিধ্বংসী আচরণ করেছেন, সন্ত্রাসী আচরণ করে প্রমাণ করেছেন যে আপনারা কোন রাজনৈতিক দলই না। আবারও প্রমাণ করেছেন আপনারা একটা বিচ্ছিন্নবাদি জঙ্গি সংগঠন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা এখন যেটা বলে সেটাই হয়। শেখ হাসিনা বিদেশি প্রভুদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বলেছিল পদ্মা সেতু হবে হয়েছে। শেখ হাসিনার সাথে পাল্লা দিয়ে আপনাদের ঐ মাথা দিয়ে জঙ্গিবাদ ছাড়া আর কিছু বের হবে না। পক্ষান্তরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মাথা থেকে দেশের উন্নয়নমূলক রাজনীতি ছাড়া নেতিবাচক কিছু বের হবে না। আমরা যারা সত্যের উপর ভর করে দাড়িয়ে রয়েছি আমাদের শক্তি অনেক বেশি। আপনারা মানবিকভাবে দুর্বল। তাই আপনারা এখন চোরাপথ দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চান। মানসিক শক্তি থাকলে অপেক্ষা করুন, বাংলাদেশের জনগণের কাছে মাফ চান। গণতন্ত্রের নায়ক শেখ হাসিনা। আপনাদের যদি ক্ষমতায় যেতে ইচ্ছা করে তাহলে আরও এক বছর অপেক্ষা করুন, নির্বাচন আসুক। সঠিক পদ্ধতিতে নির্বাচন করুন তারপর ক্ষমতায় এসে দেখিয়ে দেন আপনাদের দক্ষতা এবং সক্ষমতা।
সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি ইতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাসী না। অতীতে তারা আন্দোলনের নামে অগ্নি সন্ত্রাস করেছে, গনগণের জানমাল-সম্পদ বিনষ্ট করেছে, মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। গত কয়েকদিন ধরে আবারও তারা ধ্বংসলীলায় মেতে উঠেছে। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছি। যদি এই ফ্যাসিবাদী জামাত-বিএনপি আবারও জনগণের জানমাল-সম্পদ বিনষ্ট করে অশান্তি সৃষ্টি করে তাহলে যুবলীগ ঘরে বসে থাকবে না। জনগণের জানমাল-সম্পদ রক্ষার্থে রাজপথে তাদেরকে প্রতিহত করবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ নবী নেওয়াজ, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, তাজউদ্দিন আহমেদ, মোঃ জসিম মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম, ডা: হেলাল উদ্দিন, মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, মোঃ সোহেল পারভেজ, মউিশর রহমান চপল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মোস্তাফিজ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মীর মোঃ মহি উদ্দিন, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান সম্পাদক শাহীন মালুম, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হারিছ মিয়া শেখ সাগর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল মুকিত চৌধুরী, উপ-প্রচার সম্পাদক আদিত্য নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।