বিশ্বকাপের শুরুটা যেমন করতে চেয়েছিল আর্জেন্টিনা, লিওনেল মেসির পেনাল্টির গোলে তেমন শুরুই পেয়েছিল। কিন্তু সেই গোল যথেষ্ট হলো না জয়ের জন্য। উল্টো সৌদি আরবের পাল্টা দুই গোলে হারের বিষাদে রাঙাতে হয়েছে লিওনের স্কলানির শীর্ষদের।
র্যাংকিংয়ের পার্থক্যটা মাঠের খেলাতে স্পষ্ট থাকলেও এদিন সৌদির বিপক্ষে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি আর্জেন্টাইনরা। পুরো ম্যাচ জুড়ে আধিপত্য বিস্তার করে খেললেও একটির বেশি গোল আদায় করতে পারেনি মেসির দল।
আর্জেন্টিনার জন্য আরও বড় বাধা হয়ে দাড়িয়েছিল অফসাইড। এক ম্যাচেই ৮ বার অফসাইডের ফাঁদে পড়েছে মেসির দল। যার মধ্যে গোল বাতিল হয়েছে তিনটি। ফলে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই র্যাংকিংয়ে ৪৫ ধাপ পিছিয়ে থাকা সৌদির বিপক্ষে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে স্কলানির দলকে।
এমন ম্যাচ হারের পর আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি জয়ের জন্য কৃতিত্ব দিয়েছেন সৌদি আরবকে। ম্যাচ শেষে মেসি বলেছেন, ‘জানি অনেক মানুষ আমাদের উপর ভরসা করেন। শুধু আমি বা দল নয়, এটা সব সমর্থকদের কাছে বিরাট একটা ধাক্কা। কখনও ভাবতে পারিনি হেরে যাব। তবে একটা কথা বলতে পারি, আমরা সমর্থকদের মিথ্যা বলে এখানে আসিনি। আগেও অনেক ম্যাচ খেলেছি। আজও খুব একটা খারাপ খেলিনি। আশা করি এই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাব। ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এটাই সেরা সময়। এই হার আশা করিনি ঠিকই। কিন্তু গোটা পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের হাতেই রয়েছে।’
মেসি মেনে নিয়েছেন দ্বিতীয়ার্ধে তাদের অনেক ভুল হয়েছে। সৌদি আরব খেলার একটুও জায়গা দেয়নি। শারীরিক শক্তি কাজে লাগিয়েছে। প্রতি আক্রমণে গোল পেয়ে গিয়েছে। সেটা মনে করিয়ে মেসি বলেছেন, ‘দ্বিতীয়ার্ধে মনে হয়েছে আমরা একটু তাড়াহুড়ো করে ফেলেছিলাম। প্রথম দিকে যেটা ঠিকঠাক ভাবে করছিলাম সেটা ধরে রাখতে পারিনি। ওদের খেলার জায়গা দিয়ে দিয়েছি। ওদের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছি। বড্ড বেশি আক্রমণের দিকে নজর দিয়েছি। তবে এখন তো ফলের পরিবর্তন করা যাবে না। যে লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে এসেছি, সেটা পূরণ করাই লক্ষ্য।’