বুধবার , ২৬ অক্টোবর ২০২২ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. উদ্যোক্তা
  4. ক্যাম্পাস
  5. খেলাধুলা
  6. নারীমঞ্চ
  7. ফেসবুক থেকে
  8. বিএনপি
  9. বিচিত্র
  10. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  11. বিনোদন
  12. মতামত
  13. মুক্ত মতামত
  14. রাজধানী
  15. রাজনীতি

তিন তারকাকে ছাড়া খেলতে নেমে হেরেই গেলো রিয়াল

প্রতিবেদক
Arfan Islam Ridoy
অক্টোবর ২৬, ২০২২ ৮:১৪ অপরাহ্ন
তিন তারকাকে ছাড়া খেলতে নেমে হেরেই গেলো রিয়াল

হালকা ইনজুরির কারণে কোচ কার্লো আনচেলত্তি ঝুঁকি নিতে চাননি তিন তারকা করিম বেনজেমা, লুকা মদ্রিচ এবং ফেদে ভালভার্দেকে নিয়ে। যে কারণে জার্মানি সফরে তাদেরকে সঙ্গেই নিয়ে যাননি। বিশ্রামে রেখে যান।

তারকা ফুটবলারদের ছাড়া খেলতে নেমে জার্মান ক্লাব আরবি লিপজিগের মাঠে ৩-২ গোলে হেরে আসতে হলো উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। যার ফলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা আপাতত থমকে গেলো রিয়ালের।

রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে সবচেয়ে বেশি লাভ হয়েছে আরবি লিপজিগের। দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার একেবারে কিনারে চলে এসেছে তারা। ৫ ম্যাচ শেষে লিপজিগের পয়েন্ট ৯। শীর্ষে থাকা রিয়ালের চেয়ে এক পয়েন্ট পিছিয়ে, তৃতীয় স্থানে থাকা শাখতার দোনেৎস্কের চেয়ে ৩ পয়েন্ট এগিয়ে তারা।

এক সপ্তাহ পর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে লিপজিগ মুখোমুখি হবে শাখতারের। ওই ম্যাচে জয় পেলে তো কথাই নেই; গ্রুপ চ্যাম্পিয়নও হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে অন্তত ড্র করতে পারলেও দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের। আর ১০ পয়েন্ট নিয়ে এরই মধ্যে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চত করে বসে আছে রিয়াল মাদ্রিদ।

ম্যাচ শুরুর আগেই নিজ দলের ফুটবলারদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। তিনি বলেছিলেন, ঘরের মাঠে লিপজিগ খুবই ভয়ঙ্কর। খুব দ্রুত গতির ফুটবল খেলে তারা। কাউন্টার অ্যাটাকে দুর্দান্ত।

কোচের সে কথাই ফলেছে। ম্যাচের শুরুতেই কাউন্ডার অ্যাটাক থেকে পরপর দুটি গোল আদায় করে নেয় লিপজিগ। দুটি সেট পিচ (কর্নার কিক) থেকে গোল দুটি হজম করে ফেলে রিয়াল।

ম্যাচের ১৩ মিনিটের মাথায় কর্নার পেয়ে যায় লিপজিগ। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলটিতে বুলেট গতির হেড করেন আন্দ্রে সিলভা। ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই হেড থেকে দলকে রক্ষা করেন; কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। ফিরতি বলে দুর্দান্ত শট নেন ইয়স্কো গভার্ডিওল।

৫ মিনিট পর, ম্যাচের ১৮তম মিনিটে আবারও গোল হজম করলো রিয়াল মাদ্রিদ। এবারও কনার কিক থেকে গোল হজম করলো লজ ব্লাঙ্কোজরা। লিপজিগ মিডফিল্ডার ডেভিড রাউম রিয়ালের বক্সে বল দিলে একজন ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে সেটি চলে যায় ক্রিস্টোফার এনকুনকু-এর কাছে। দ্রুতগতির শটে বলটি রিয়ালের জালে জড়াতে মোটেও ভুল হয়নি তার।

এররপরও বেশ কয়েকবার গোলের দারুণ সুযোগ তৈরি করে লিপজিগ। গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়ার দৃঢ়তায় রক্ষা পায় রিয়াল। আমাদু হায়দারা বক্সের প্রান্ত থেকে স্ট্রাইক নিলে এবং এনকুনকু খুব কাছ থেকে শট নিলে ঝাঁপিয়ে পড়ে দলকে রক্ষা করেন থিবো কুর্তোয়া।

প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে একটি গোল শোধ করেন রিয়ালের ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। দুর্দান্ত এক হেডে গোলটি করেন তিনি। ম্যাচের ৮১তম মিনিটে দুর্দান্ত এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে রিয়ালের জালে তৃতীয়বার বল জড়ায় লিপজিগ। এবারের পুরো কৃতিত্ব টিমো ওয়ার্নারের। জার্মান এই মিডফিল্ডার খুবই ক্লোজ রেঞ্জ থেকে গোল করেন।

ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে, যোগ করা সময়ের ৪র্থ মিনিটে পেনাল্টি থেকে আরও একটি গোল পরিশোধ করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা রদ্রিগো। কিন্তু তার এই গোল কিন্তু রিয়ালের পরাজয় ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট হলো না।

ম্যাচ শেষে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেন, ‘সেট পিস থেকে আমরা শুরুতেই দুটি গোল হজম করে ফেলি। এরপরই মূলত পিছিয়ে পড়ি। আর এ ধরনের ম্যাচে তারা যেভাবে খেলেছে, তাতে জয় তাদেরই প্রাপ্য। অসাধারণ কাউন্টার অ্যাটাকে খেলেছে তারা। বোঝাই গেলো কাউন্টার অ্যাটাকে তারা খুবই দক্ষ। আমরা ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিয়েছিলাম; কিন্তু কাউন্টার অ্যাটাকের কাছেই হেরে গিয়েছি।’

গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়া বলেন, ‘কোচ আনচেলত্তি ম্যাচের আগেই আমাদেরকে সতর্ক করেছিলেন যে, ঘরের মাঠে তারা খুবই কঠিন এবং আক্রমণাত্মক দল। কিন্তু আমরা শুরুটা করেছিলাম খুবই স্লো এবং যে কারণে শেষ পর্যন্ত আমাদের ভুগতে হলো।’

সর্বশেষ - ক্যাম্পাস