সিনেমা করতে গিয়ে গল্পের প্রেমে পড়ে যান অনেকে। আসে নতুন নতুন উপলদ্ধি ও ভাবনা। তেমনই এক নতুন ভাবনার উদ্রেক ঘটেছে ‘দামাল’ অভিনেতা সিয়াম আহমেদের মনে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে গড়তে চান স্পোর্টস ক্লাব। তার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন একই সিনেমায় তার সহ-অভিনেতা শরিফুল রাজও।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরা সিটিতে আয়োজিত মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘দামাল’ ছবির সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে এমনটাই জানান সিয়াম। তাতে সায় দেন রাজও। ক্লাবটি গড়ার পেছনে মূল কারণ তাদের দুই পুত্রসন্তান।
এক প্রশ্নের জবাবে সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘আমার আর রাজের ছেলেকে শুধু ফুটবলার না, যেকোনো স্পোর্টস পারসন বানাতে চাই। ছেলেদের কথা ভেবে ইনফ্যাক্ট আমরা একটি ক্লাব দেওয়া যায় কিনা, সেটাও ভাবছি।’
সিয়ামের এমন ভাবনায় সমর্থন জানিয়ে রাজ বলেন, ‘আমি সমর্থন করছি। সুন্দর আইডিয়া।’
২৮ অক্টোবর মুক্তি পাচ্ছে রায়হান রাফী পরিচালিত আলোচিত সিনেমা ‘দামাল’। সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে।
মঙ্গলবার সিনেমাটির সঙ্গে টি-স্পোর্টস চ্যানেলের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। সেই উপলক্ষে বিশেষ এই আয়োজনে হাজির হন সিনেমার তিন প্রধান চরিত্র সিয়াম আহমেদ, বিদ্যা সিনহা মিম ও শরিফুল রাজ। নির্মাতার সঙ্গে হাজির ছিলেন অন্য শিল্পী-কুশলীরাও। নির্মাতা-শিল্পীরা ছবিটি নির্মাণের পেছনের গল্প শেয়ার করেন সবার সঙ্গে। জানান, এতে দলের ক্যাপ্টেন হিসেবে অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ আর স্ট্রাইকার হিসেবে ছিলেন সিয়াম আহমেদ।
সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘আসলে একটা সিনেমার পেছনে যে কতো শ্রম আর মেধা খরচ হয়, সেটা পর্দার সামনে বসে অনুভব করা যায় না। আজ আপনাদের আমি একটা ঘটনা বলি। রোজ সকালে যেতাম আমরা মাঠে। রোদের মধ্যে সারা দিন প্র্যাকটিস করতাম আর খেলতাম। এর মধ্য দিয়েই আসলে সিনেমার ফুটেজগুলো বেরিয়ে আসে। তো এভাবে একদিন একটি দৃশ্যে আমি আর রাজ দৌড়াচ্ছিলাম মাঠে। দৌড়াতে দৌড়াতে আমরা দুজনেই বমি করছিলাম। বাট থামছিলাম না। কারণ, ওটা এক টেকের শট ছিল। থামলেই শট নষ্ট হবে। আবার দিতে হবে পুরোটা। তো পর্দায় কিন্তু সেই দৃশ্যে আমাদের কষ্টটা কেউ দেখবে না। এজন্য বলছি, আপনারা যখন ছবিটা দেখবেন, তখন একটু হলেও টের পাবেন- আমরা আসলে শুয়ে-বসে ছবিটা বানাইনি। আমাদের প্রতিটা মানুষের অনেক ঘাম-শ্রম এতে নিবেদিত।’
সিনেমাটিতে মিম-রাজ-সিয়াম ছাড়াও আছেন সুমিত, রাশেদ মামুন অপু, সাঈদ বাবু, শাহনাজ সুমি, বৃষ্টি, অথৈ, পূজা প্রমুখ। ইতোমধ্যে সিনেমাটির ‘ঘুরঘুর পোকা’, ‘আমি দুর্জয়’ শিরোনামে দুটি গান ইউটিউবে অবমুক্ত করা হয়েছে। দুটোই দারুণ সাড়া ফেলেছে।