কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর। পল স্মলির দল ম্যাচ জিতেছে ২-১ গোলে। কিন্তু তিনটি গোলই করেছে সিঙ্গাপুর। নিজেদের দুই অর্ধে দুটি আত্মঘাতী গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছে বাংলাদেশ। তবে লক্ষ্য পূরণ হয়নি।
এদিন ম্যাচের দশ মিনিটেই প্রথম গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। বক্সের বাইরে থেকে সতীর্থকে ক্রস দেন মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। সেই ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করেন ডিফেন্ডার ব্রেডেন গো। এরপর একের পর এক আক্রমণ শুরু করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের আক্রমণের পর সিঙ্গাপুর খুব একটা আক্রমণ করতে পারেনি।
ম্যাচের ২৮তম মিনিটে মুহাম্মদ রাসুল রামলির ক্রস থেকে ডি-বক্সের বাইরে থেকে উঁচু করে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান মুহাম্মদ সায়জোয়ান। প্রথমার্ধে সমতায় থেকে বিরতীতে যায় দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ বাড়ায় বাংলাদেশ। প্রায় পুরো সময়টাই খেলা হয় সিঙ্গাপুরের সীমানার মধ্যে। তবে বিশৃঙ্খল আক্রমণের কারণে লক্ষ্য পূরণ হয়নি। ম্যাচে অতিরিক্ত আট মিনিট দেওয়া হয়। অতিরিক্ত সময়েও খেলা ড্রয়ের দিকে যায়।
তবে শেষ মুহূর্তে সিঙ্গাপুরের আত্মঘাতী গোলে জয়ের বন্দরে পোঁছে যায় বাংলাদেশ। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে বক্সে লম্বা থ্রো করেন মো. রাতুল। রাতে সিঙ্গাপুরের জন টেন তার থ্রো-ইন পরিষ্কার করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু তার মাথা চলে যায় গোলরক্ষকের দিকে। বল সামলাতে পারেননি গোলরক্ষক ইসাক লি। এতেই কপাল খোলে স্বাগতিকদের।