রাজধানীর উত্তরার তুরাগ এলাকায় ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সোয়া ১১ কোটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় টাকা বহনকারী গাড়িতে থাকা মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পল্লবী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ডিএমপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থানা হেফাজতে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। সেদিনের ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানার জন্য তাদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রোববার (১২ মার্চ) বিকেলে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, মানি প্লান্ট লিংকের পরিচালক অজয় কর বলেছেন, টাকা বহনকারী গাড়িটি সাভার ইপিজেড যাওয়ার জন্য মিরপুর ডিওএইচএস-এর অফিস থেকে বের হয়ে দিয়াবাড়ি পার হওয়ার সময় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে। তারা প্রথমে পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া শুরু করে। পরে মারধর শুরু করে। তারা ১২/১৩ জন ছিলেন। এরপর গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গাড়িটি চালিয়ে সামনে নেয়। এরপর টাকার ট্রাঙ্ক নিয়ে চলে যায়।
সেদিন মানি প্লান্ট লিংকের গাড়িতে ছিলেন সুপারভাইজার কামাল হোসেন, ড্রাইভার ওয়াহিদুজ্জামান, সিকিউরিটি গার্ড ছিলেন বিল্লাল হোসেন ও ওয়াহিদুল ইসলাম এবং এক্সিকিউটিভ খালিদ হোসেন।
অন্যদিকে, ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় নতুন করে আরও দুই কোটি ৫৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।
ঢাকার মিরপুর, বনানী, সুনামগঞ্জসহ ভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এই টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে আট জনকে।
আগে উদ্ধার করা ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজারসহ এ নিয়ে মোট উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ৬ কোটি ৪৩ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা।
গ্রেপ্তাররা হলেন— মো. সানোয়ার হাসান (২৮), মো. ইমন ওরফে মিলন (৩৩), মো. আকাশ মাদবর (২৫), সাগর মাদবর (২২), মো. বদরুল আলম (৩৩), মো. মিজানুর রহমান (২০), মো. সনাই মিয়া (২৮) ও এনামুল হক বাদশা (২৬)। তুরাগ থানায় দায়ের করা এ সংক্রান্ত মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সূত্র:ঢাকা পোস্ট