সারা দেশে পরীক্ষা হওয়ার কারণে এবার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ট্র্যাকিং ডিভাইস যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘এর ফলে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি এবং প্রশ্নফাঁসও হয়নি।’
শুক্রবার (১০ মার্চ) এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের একটি কেন্দ্র পরিদর্শন করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিপিএর মান বাড়ানোয় মেডিক্যালে ভর্তির পরীক্ষার্থী কমেছে। আগে দুই পরীক্ষা (মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক) মিলিয়ে জিপিএ ৮ পেলে আবেদন করা যেত। এবার তা বাড়িয়ে ৯ করা হয়েছে। যে কারণে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমতে পারে।’
২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস–এ ভর্তি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৪ হাজার। আজ সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজে ৪ হাজার ৩৫০ আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ২১৭ জন ভর্তি–ইচ্ছুক। এ ছাড়া বেসরকারি ৭১টি মেডিকেল কলেজে ভর্তি যোগ্য আসন রয়েছে ৬ হাজার ৭৭২টি। এ বছর ছেলে পরীক্ষার্থী থেকে মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি।এ বছর মোট আবেদনকারীর সংখ্যা এক লাখ ৩৯ হাজার ২১৭ জন।
সরকারি মেডিক্যালে মোট আসন রয়েছে চার হাজার ৩৫০টি। সে হিসেবে আসনপ্রতি লড়ছে ৩২ শিক্ষার্থী। আর সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১০৮টি মেডিক্যাল কলেজে মোট আসন রয়েছে ১১ হাজার ১২২টি। সেই হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়ছেন ১২ জন পরীক্ষার্থী।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়, শেষ হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি। এবার প্রায় এক লাখ ৩৯ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন অনলাইনে টেলিটকের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়।