শিক্ষার্থীদের হাতে আগামী বছরের শুরুতেই বিতর্কমুক্ত পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। বুধবার (০২ অক্টোবর) খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে নেতারা এ দাবি জানান।
দলটির নেতার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে বলেন, ইসলামপন্থিদের মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক ট্যাগে আখ্যায়িত করে জুলুম-নির্যাতন চালানো ছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের একটি ঘৃণিত কাজ। সম্প্রতি বাতিল হওয়া পাঠ্যবই সংশোধন কমিটির পক্ষে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে কয়েকজন সেক্যুলার বুদ্ধিজীবী নতুনভাবে এই ট্যাগে উস্কানি দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। তাদের ব্যাপারে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।
বিশেষজ্ঞ আলেম, ইসলামি স্কলারসহ বিতর্কমুক্ত সদস্যদের নিয়ে অবিলম্বে শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন গঠনের আহ্বান জানান দলটির নেতারা। তারা বলেন, গঠিত ৬টি সংস্কার কমিশনের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও জন-আকাঙ্ক্ষার বাস্তব প্রতিফলন প্রত্যাশা করছে জনগণ।
তারা আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এখনো গুরুতর আহতদের সরকারি চিকিৎসা প্রাপ্তিতে বঞ্চনার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা সরকারকে তাদের বিনামূল্যে উন্নত চিকিৎসাপ্রাপ্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানাচ্ছি।
ফিলিস্তিন ও লেবাননে ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা বর্ষণ ও স্থল অভিযানে নারী-শিশু সহ হাজারো নাগরিক হত্যার তীব্র নিন্দা জানায় দলটি। তারা হামলা বন্ধে জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানায়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. রিফাত হোসাইন মালিক, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জহিরুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, হাজী নুর হোসেন, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবুল হোসেন, প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ।