শনিবার , ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. উদ্যোক্তা
  4. ক্যাম্পাস
  5. খেলাধুলা
  6. নারীমঞ্চ
  7. ফেসবুক থেকে
  8. বিএনপি
  9. বিচিত্র
  10. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  11. বিনোদন
  12. মতামত
  13. মুক্ত মতামত
  14. রাজধানী
  15. রাজনীতি

বেরোবির আবাসিক হলে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা, নেই প্রশাসনের নজরদারি

প্রতিবেদক
Hasan al Sakib Sakib
নভেম্বর ১৬, ২০২৪ ১:৫২ অপরাহ্ন

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ( বেরোবি ) মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মশার উৎপাত চরম আকার ধারণ করছে। কাজ হচ্ছে না কয়েল কিংবা অ্যারোসল ব্যবহারে। দিনের বেলায়ও হলের কক্ষগুলোতে টানাতে হচ্ছে মশারি। ভয়াবহ এ উপদ্রবে বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। ক্যাম্পাসে ঘন ঝোপঝাড়, ময়লা-আবর্জনা ও ডাস্টবিনে জমে থাকা খাবারের অবশিষ্ট এবং যত্রতত্র জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে মশার উৎপত্তি বেশি হচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া মশা নিধনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিয়মিত ওষুধ ছিটানো ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলমান থাকার কথা থাকলেও তা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।বিশ্ববিদ্যালয়ে মশা নিধনের জন্য নিজস্ব ফগার মেশিন থাকলেও তার ব্যবহার লক্ষণীয় নয়। ফলে মশার কামড়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

দিনের বেলায় কম হলেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই মশার উৎপাত ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। সন্ধ্যার পর পুরো ক্যাম্পাসেই যেকোনো জায়গায় মশার উপদ্রবে বসা বা দাঁড়ানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। এছাড়া আবাসিক হলে রাতে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা । রাতের পাশাপাশি দিনের বেলায়ও মশারি টানিয়ে পড়াশোনা ও ঘুমাতে হয়। তবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছেন রিডিংরুমে চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা। আবার কয়েল ব্যবহারে আগুন লাগার ঝুঁকি থাকায় তাও সবসময় ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের তৃতীয় বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী শাহরিয়ার বলেন, রাত-দিন সব সময়ই হলে মশার উপদ্রব বেড়েছে। সন্ধ্যার পর জানালা খোলা রাখাই যায় না। সন্ধ্যার পর মশার কারণে পড়তে বসতে পারি না। কয়েলের কারণে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়। নিয়ম করে মশার ওষুধ ছিটানো হয় না। এসব ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা রয়েছে। হলে পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা নেই। তাই বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকছে আর সেখানে মশার উৎপত্তি হচ্ছে।

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের পরিসংখ্যান বিভাগ শিক্ষাথী মুমতাস তামান্না বলেন, দিনের বেলায় মশার অত্যাচারে বসে থাকা যায় না, রাতের বেলার কথা বাদই দিলাম। সন্ধায় রিডিং রুমে বসে একটু ও পড়াশোনা করা যায় না।ডাইনিংয়ে খাওয়ার সময় মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ সবাই। মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু নিয়ে প্রতিবছরই এই নির্দিষ্ট সময়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। সাম্প্রতিক সময়ে বছরজুড়ে থাকছে এই ডেঙ্গু আতঙ্ক। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে যেমন মশার প্রজনন বেড়েছে,হলের আশেপাশে ঝোপঝাড় বেশি হওয়ার কারনে বেড়ে চলেছে মশার আতংক। তাছাড়া   হলের পশ্চিম প্রান্তে  খোলা ডাস্টবিনের কারনে মশার লাভা বেশি সৃষ্টি হয়, এর ফলে  এডিস মশার ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। এসব মশা থেকে ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করতে পারে। এমন ভয়াবহ অবস্থা কিন্তু প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন নজরদারি  নেই।।তাদের উচিত হলের ঝোপঝাড় পরিষ্কার ডাস্টবিনের ময়লা নিয়মিত পরিষ্কার করা। প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুবার স্প্রে করা জীবানু নাশক দিয়ে।

আবাসিক হলে শিক্ষার্থী আসিফ আল আকন্দ বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র তিনটা হল হলেও,মশা নিয়ে নেই প্রশাসনের কোন তদারকি, হলের আশেপাশে ঝোপঝাড় দিয়ে ভর্তি, সেই ঝোপঝাড়ই হলো মশা বসবাসের উপযুক্ত স্থান।শহীদ মুখতার ইলাহী হলের দক্ষিণে ক্যাডেট কলেজের ড্রেনে মশা উৎপাদনের আধার।নিয়মিত মশা নিধক না ব্যবহার করার ফলে বিকালে হলে মশার উপদ্রুব এত বেড়ে যায় যে,মশা জানালা দরজা দিয়ে রুমে প্রবেশ করে, ফলে কয়েল ছাড়া রুমে থাকা সম্ভব হয় না।এর ফলে পড়াশোনা ব্যহত হয়।আর এই মশার কামড়ে হতে পারে ডেঙ্গুর মত ভয়ানক মশা বাহিত রোগ। যা আবাসিক হল এর শিক্ষার্থীদের জন্য বিপজ্জনক এবং প্রাণঘাতী। মশার উপদ্রব নিয়ে প্রশাসনের নেই তেমন পদক্ষেপ।আমি একজন আবাসিক হল এর শিক্ষার্থী হিসাবে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, আপনারা মশার উপদ্রব ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে,শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল মশা মুক্ত ও ডেঙ্গু মুক্ত রাখবেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ আমির শরীফ বলেন,আবাসিক হলে মশার উপদ্রব নিয়ে আমার কাছে এখনো কোন অভিযোগ আসেনি।এই বিষয়ে আমি এইমাত্র জানলাম। আবাসিক হলের দায়িত্বরতদের আমি বলে দিয়েছি হলের আশেপাশে যেন কোন ঝোপ-জঙ্গল না থাকে। তারা জঙ্গল পরিষ্কারের কাজ করছে। আর মশা নিধনের কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি প্রশাসনকে বলবো। আর ডাস্টবিনে জমে থাকা ময়লা যাতে নিয়মিত পরিষ্কার হয় এ বিষয়টাও নজরে নেওয়া হবে।

নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা শাখার উপ রেজিস্টার মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের আবাসিক হলে মশার উপদ্রবের বিষয়টা জানা ছিলো না। মশা নিধোনের জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ - সারা বাংলা