প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
গত ২৩ জানুয়ারি রংপুর মহানগর মহিলা যুবলীগের কে এই শাহনাজ বিউটি কোথায় তার ক্ষমতার উৎস শিরোনামে একটি অনুমোদনহীন অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রকৃত বিষয় হচ্ছে, রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলাধীন ভাংনি আহমদিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসাটি ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০০৩ সাল পর্যন্ত অত্র মাদ্রাসায় কোন ইংরেজি বিষয়ে প্রভাষক ছিল না। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে আমি একজন প্রার্থী হয়ে আবেদন করি। তৎকালীন অত্র মাদ্রাসার সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), রংপুর জনাব নজরুল ইসলাম তার সভাপতিত্বে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আমি নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে পহেলা মার্চ ২০০৩ তারিখে যোগদান করে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। সেপ্টেম্বর ২০০৪ সালে আমি এমপিও ভুক্ত হই। যথাযথ নিয়মের সাথে দায়িত্ব পালন করার মধ্য দিয়ে সরকারি বেতন ভাতা পেয়ে আসছি। অত্র মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক আবু ছালেহ মোঃ জাকারিয়া ২০১৬ সাল হতে অবৈধভাবে অধ্যক্ষর চেয়ারে আসীন হয়ে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি জালজালিয়াতি অর্থ আত্মসাৎ করায় তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসক, রংপুর ও আরবি বিশ্ববিদ্যালয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন।
০৭ (সাত) মাস অর্থাৎ জুন/২০২৪ খ্রি. থেকে মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে আবু ছালেহ মোঃ জাকারিয়া যে অভিযোগ করেছেন তা সত্য নহে। কারণ আবু ছালেহ মোঃ জাকারিয়া কর্তৃক শিক্ষক হাজিরা খাতায় আমি জুন/২৪ মাস পর্যন্ত উপস্থিতি স্বাক্ষর করি। সেহেতু আবু ছালেহ মোঃ জাকারিয়ার স্বাক্ষরে আমাকে জুন/২৪ মাসের বেতন প্রদান করছেন।
জুলাই, আগষ্ট ও সেপ্টেম্বর/২০২৪ খ্রি. মাসে উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ গোফরান আলী ওয়াহেদী কর্তৃক হাজিরা খাতায় আমি উপস্থিতি স্বাক্ষর করেছি মর্মে তিনি জুলাই, আগষ্ট ও সেপ্টেম্বর/২০২৪ খ্রি. মাসের বেতন ভাতা পূর্ণ হিসেবে সভাপতি আতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), রংপুর এর নিকট বেতন দাখিল করেন।
আমি মানসিক ভাবে অসুস্থ হওয়ায় ঢাকা পিজি হাসপাতালে চিকিৎসা লই এবং ডাঃ আমাকে বেড রেষ্টে থাকার পরামর্শ দেন। সেহেতু আমি সভাপতি মহোদয়ের নিকট চিকিৎসা ছুটি আবেদন করি, তা অনুমোদন করেন।
আবু ছালেহ মোঃ জাকারিয়া সাময়িক বরখাস্তের যে অভিযোগ তুলছেন যার আইনগত কোনো ভিত্তি নেই এবং জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। কারণ গত ০৪/০৮/২০২৪ খ্রি. তারিখে সাময়িক বরখাস্ত দেখানো হয়েছে। এ সময়ে আইনগত হিসেবে মোঃ সাজিদ করিম সভাপতি এবং মোঃ গোফরান আলী ওয়াহেদী উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এর দায়িত্ব পালন করেন।
সাময়িক বরখাস্তের বিষয়ে আমি নিজেও জ্ঞাত নই। বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীর চাকুরী সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসর করা হয়নি। ০৪/০৮/২০২৪ খ্রি. তারিখে যখন সারাদেশে অস্থিরতা বিরাজ করছে তখন আবু ছালেহ মোঃ জাকারিয়া উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে মামলা থেকে বাঁচার জন্য এ পথ বেঁচে নিয়েছেন।
আমার সনদ নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ তুলছেন তাহা সঠিক নয়। আমার সনদের সত্যায়িত কপি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করেছি এবং অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে উকিলের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছি। তারা এখন পর্যন্ত কোন জবাব দেননি।
আবু ছালেহ মোঃ জাকারিয়া নিজের দুর্নীতি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন/২০০০ ট্রাইব্যুনাল, আদালত, রংপুর থেকে মামলা হতে রেহাই পাওয়ার জন্য সাংবাদিক ভাইদের নিকট মিথ্যা অসত্য তথ্য প্রদান করে। যার প্রেক্ষিতে ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে অনলাইন পত্রিকায় প্রতিদিন দুর্নীতির তালাশ প্রকাশিত হয়। আমি সাংবাদিক ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং এরূপ সংবাদ প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করছি।
মোছাঃ শাহনাজ বেগম
সহকারী অধ্যাপক (ইংরেজি)
ভাংনী আহমদিয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা,
মিঠাপুকুর, রংপুর।