নিজস্ব প্রতিবেদক সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী হামলা নারীসহ ১০-১২ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বেগম ফজিলাতুন্নেসা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের সান্তান গ্রামের নুরুল হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের নওশের ও বিপুলদের সঙ্গে পরিবারিক কোন্দল চলে আসছিল।
এর জের ধরে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সময় সবাই যখন ইফতার নিয়ে ব্যস্ত তখন আর্তকিত নুরু ও তাঁর স্ত্রীকে ঘরে আটকিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এতে সাগরীর দাঁত ভেঙ্গে যায় এবং গুরুতর আহত হয়। নুরুও গুরুতর আহত হয়। এ খবর পেয়ে সাগরীতে প্রাণে বাঁচাতে এগিয়ে যান একই গ্রামের তাঁর পিতা কোরবান আলী (৭০), ভাই আমিরুল ইসলাম (৩২), ভাইবো আম্বিয়া খাতুন পলি (৩০)।
এ সময় তাদেরকে ও বেধরক মারপিট করে গুরুতর আহত করা হয়। কোরবান আলীদের বাঁচাতে এগিয়ে যান, তার ভাই ভাহিজারা। এসময় নওশের ও বিপুল গংদের সঙ্গে যোগ দেন সন্ত্রাসী আবদুর রাজ্জাক বাহিনী।
এই বাহিনীর সন্ত্রাসী আবদুর রাজ্জাক, রাজেদুল, কছের, এমদাদুল, মিলন, লুৎফর, জাহাঙ্গীর, শরিফ, শাকিলসহ দেশীয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা কোরআন আলীর আত্মীয় স্বজনের উপর বোধড়ক মারপিট করে।
তাদের হামলায় আরো আহত হয়, স্কুল শিক্ষক এনামুল হক (৩৫), কোরবান আলী (৭০), আমিরুল ইসলাম (৩২), আম্বিয়া খাতুন পলি (৩০), রফিকুল ইসলাম (৩৫), সবুজ (৩৬), মামুন (২৮), মমিন (২৪) সজিব (২২), নুরুল ইসলাম (৪২), ডা: ওসমান গনি (৭৫)। আহতদের দ্রুত সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বেগম ফজিলাতুন্নেসা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে সাগরী, কোরবান আলী, আমিরুল, আম্বিয়া খাতুনের অবস্থা গুরুতর। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাড়াশ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।