জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ক্লাস-পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে খেলাধুলা বন্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। শিক্ষার্থীর তুলনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খুবই ছোট। ক্লাস ও পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ক্যাম্পাসে খেলাধুলা করলে ক্লাস ও পরীক্ষায় বিঘ্ন ঘটে। এছাড়াও চলাচলে অসুবিধা হয়। এজন্য সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের ভিতরে (বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের সামনের খোলা জায়গাসহ অন্যান্য খোলা জায়গায়) কোন প্রকার খেলাধুলা না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।
যদিও ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের পরপরই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন সিদ্ধান্তের পক্ষে বিপরীত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে শুরু করেছেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ‘বলি খেলার জন্য ছিল এক ধূপখোলা মাঠ তা তো খেয়ে দিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা তাদের শরীর মন ভালো রাখতে ছোট ক্যাম্পাসে খেলা করে, তাতেও আপনাদের সমস্যা। দুইটার পর সব বাস ছেড়ে দেয়, ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা খেলা করবে কখন? দিয়ে রাখছেন টুর্নামেন্ট, শিক্ষার্থীরা প্র্যাকটিস করবে কখন? তার থেকে সব বাদ দিয়ে বলে দেন পড়াশোনা বাদে আর কিছু হবে নাহ।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে যখন উচ্চস্বরে যখন গান-বাজনা হয় তখন বুঝি আমাদের ক্লাস পরীক্ষার সমস্যা হয় না। শান্ত চত্বরে বা অন্য স্থানে যখন বিভিন্ন বিভাগ মাইকে উচ্চস্বরে অনুষ্ঠান আয়োজন করে তখন কি তারা বিবিএ ভবনে থাকা ক্লাস-পরীক্ষার বিষয়ে একবারও কি ভাবেন। ছোট্ট এ ক্যাম্পাসে আমরা ক্লাসের ফাঁকে বা শেষ করে একটু ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল খেলি। এখন এটা নিয়েও যদি এত সমস্যা হয় তাহলে আমরা যাব কোথায়।
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, এক কথা সেই চার বছর ধরে শুনে আসছি, নতুন ক্যাম্পাস হচ্ছে, সেখানে আধুনিক মাঠ তৈরি করা হচ্ছে আমাদের জন্য৷ আদ্য সকল শিক্ষার্থীরা কি সেখানে গিয়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছে, আমার প্রশ্ন রইলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে? অথবা আপনারা কি সুযোগ করে দিচ্ছেন আমাদের খেলাধুলার জন্য। এরকম হলে তো একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। এত এত সংকটের মধ্যে সমাধান কবে হবে আমাদের। আমরা অতি শীঘ্রই সকল সমস্যার সমাধান চাই।