রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আজ ভোর থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। মধ্যরাতে কিছুটা বিরতি দিলেও ভোর থেকেই রাজধানীতে যেন আকাশ ভেঙে শুরু হয় বৃষ্টিপাত। শহরের কোনো কোনো জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে মুষলধারে।
বঙ্গপোসাগরে লঘুচাপ এবং মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সারা দেশেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর সঙ্গে হচ্ছে বজ্রপাতও। ভোরে মুষলধারে বৃষ্টিতে ঘর থেকে বের হতে পারেননি অনেকেই। ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষেরা। আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে আরও কয়েক দিন।
বৃষ্টির মধ্যে রাজধানীর মহাসড়কগুলো দেখা যায় যানজট। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামীরা।
এদিকে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কে ব্যাহত হয় মানুষের চলাচল। যানবাহন কম, অগত্যা বৃষ্টিবন্দি হয়ে আটকা পড়েন অনেকেই। কেউ আশ্রয় নেন সড়কের পাশের ছাউনিতে, আর যাদের ছাতা ছিল তারা পায়ে হেঁটেই গন্তব্যের দূরত্ব কমানোর চেষ্টা করেন। বেশি ভোগান্তিতে পড়েন খেটে খাওয়া মানুষ। বৃষ্টিতে ভিজেই কাজের খোঁজে ছোটেন তারা।
অবশ্য বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর-সর্দির চেয়েও এখন মানুষের বেশি ভয় ডেঙ্গু নিয়ে। জমাট পানিতে এডিস জন্মানোর শঙ্কা এখন ঘরে ঘরে।
রোববার অবশ্য ভোর থেকেই পথে নামতে শুরু করেন মানুষ। বৃষ্টির বিপত্তির সঙ্গে যানবাহন না পাওয়া আর অতিরিক্ত ভাড়া বাড়িয়েছে দুর্ভোগ। যদিও চালকরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে যাত্রী নেই।
অবশ্য শনিবারই এই বৃষ্টির পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছি। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এই পূর্বাভাসের পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার অবস্থা সামন্য পরিবর্তন হতে পারে বলে জানানো হয়। আর বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থার বিষয়ে বলা হয়, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে।