আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারের পর এবার ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে নামবে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে ব্যাটারদের ভুলগুলো শুধরে শুধু জয় নিয়েই ভাবছেন অধিনায়ক লিটন দাস। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টি মাঠে গড়াচ্ছে আজ। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচ।
এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সেরা প্রস্তুতির লক্ষ্যে আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই অভিযানের প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা খায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম ম্যাচে বিবর্ণ ব্যাটিংয়ে পরাজয়কে সঙ্গী করে স্বাগতিকরা মাঠ ছেড়েছিল। এবার সিরিজ বাঁচানোর জন্য ঘুরে দাঁড়ানোর পালা টাইগারদের। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০তে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
যদিও অতিথিদের আগের দুই সিরিজের দুটিতেই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ম্যাচ হিসাব করলে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ১২ বারের দেখায় জয়ের পাল্লা খুব বেশি ভারী নয় লাল-সবুজের জার্সিধারীদের। বাংলাদেশের সাত জয়ের বিপরীতে আফগানরা জিতেছে পাঁচটিতে।
তামিম ইকবালের অবসর কাণ্ডের পর দলের দায়িত্ব পেয়েছেন সহ-অধিনায়ক লিটন দাস। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আগামীকালকের উইকেট কেমন হবে তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। কারণ নতুন দিন, নতুন চ্যালেঞ্জ। কী হবে না হবে এটা আগামীকাল দেখা যাবে।’
অক্টোবরে ভারতে হতে চলা ওয়ানডে বিশ্বকাপে হাই-স্কোরিং ম্যাচ হবে বলেই অনুমান। ৩০০-৩৫০ স্কোর হতে পারে নিয়মিত। এরআগে আফগানদের সঙ্গে বাজে পারফরম্যান্স লাল-সবুজের দলের জন্য বড় ধাক্কা কিনা- এমন প্রশ্নে লিটন উত্তর দিলেন ভিন্ন আঙ্গিকে।
‘ধাক্কা বলব না। এটাও বলবো না যে ৩০০-ই করা লাগবে। উইকেট যদি ৩৫০-৪০০ রানের থাকে, আমরা যদি ভালোভাবে সেট হই, তাহলে অবশ্যই হবে। উইকেট যদি ডিমান্ড করে আড়াইশ করতে হবে, তাহলে আমরা ওইটাই চেষ্টা করব।’
স্বাগতিকদের ব্যাটিং বিপর্যয়ের বিপরীতে ফিফটি করা তাওহিদ হৃদয়ের প্রশংসার পাশাপাশি ধারাবাহিকতা দেখতে মরিয়া লিটন। বিষয়টি দলের জন্য ইতিবাচক বললেন।
‘যখন কোনো খেলোয়াড় পারফরম্যান্স করে, দলের জন্য তা খুব ভালো। চাই সে যেন ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে। আগামীকাল যদি ১০০ মারে, তাহলে অধিনায়ক হিসেবে আমার জন্য এরচেয়ে বড় পাওয়া থাকবে না। চাই যেন ওই জায়গায় (পাঁচ নম্বর পজিশন) ধারাবাহিকভাবে ভালো করতে পারে এবং বড় বড় রান করতে থাকে।’