আমাদের ফসল আমরা ফলাবো, আমাদের খাদ্য চাহিদা আমরাই পূরণ করবো উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বব্যাপী এখন প্রচণ্ড খাদ্যের অভাব, আমাদের দেশে খদ্যের অভাব যেন না হয়। প্রতিটি জেলায় জেলায় আমরা খাদ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করছি।
শনিবার ১ জুলাই সকাল সাড়ে ১২টার দিকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে দু’দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী সকালে নিজ এলাকায় পৌঁছান। সেখানে তার সফরে সঙ্গী হয়েছেন আইসিটি উপদেষ্টা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন হত দরিদ্যের সংখ্যা খুবই কম, মাত্র ৫ শতাংশে এসে পৌঁছেছে। আমরা এটাকে শূন্যের কোটায় নিয়ে যাব। আপনারা সকল অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ করেন। নিজেদের চাহিদা আমরা নিজেরাই পূরণ করবো। অতিরিক্তগুলো আমরা সংরক্ষণ করবো। প্রতিটি জেলায় জেলায় আমরা খাদ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করছি।
নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে আসেনি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আমার ভাগ্য পরিবর্তন করতে আসেনি। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করায় আমার লক্ষ্য। দেশের মানুষ সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কিছু মানুষ আছেন যারা বাংলাদেশের কোন ভালো দেখেন না। যারা দেখে না, যারা চোখ থাকতেও অন্ধ, তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলার নেই। শুধু এটাই বলব, তারা দেখে না কিন্তু ভোগ করে।’
তিনি বলেন, ‘যারা চায়নি আওয়ামী লীগ কখনও ক্ষমতায় আসুক। যারা চায়নি যে এদেশের মানুষ আবার পেট ভারে ভাত খাক, মানুষের একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই হোক, রোগীরা চিকিৎসা পাক, মানুষ শিক্ষিত হোক। তাদের প্রতি আমাদের চ্যালেঞ্জ, আমার বাবা এই দেশ যে লক্ষ্য নিয়ে স্বাধীন করেছেন তা আমি পূরণ করব। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমার লক্ষ্য।’
তিনি বলেন, ‘ঈদের এ সময়ে বৃষ্টি হয়ে অসুবিধা হচ্ছে কিন্তু তারপরেও বৃষ্টি আমাদের জন্য আশীর্বাদ। আমাদের বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করতে হবে।’