৩০ হাজার টাকার চুক্তিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে সোহেল রানা (২৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ সোমবার ১৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ৩য় শিফট চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের ৪০১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।
সোহেল রানা নিজেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে দাবি করেছেন। তার বাড়ি রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলায়। সোহেলের পিতার নাম সোহাগ আলি ও মাতার নাম আমেনা বেগম।
মো. নাজমুল হক নামের এক শিক্ষার্থীর হয়ে ৩০ হাজার টাকার চুক্তিতে ‘বি’ ইউনিট ও গতকালের ‘সি’ ইউনিটেও পরীক্ষা দিয়েছেন বলে চ্যানেল আইকে জানান আটককৃত সোহেল।
তিনি বলেন, আমি এর আগে কখনও কোথাও প্রক্সি দেইনি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছি। ৩০ হাজার টাকার চুক্তিতে আমার এলাকার এক স্থানীয় বড় ভাই ইমনের মাধ্যমে এখানে এসেছি। ইমন নাজমুল হকের ফুফাতো ভাই। ইমন রাজশাহী কলেজে পড়তেন।
তবে এ বিষয়ে প্রক্টর অফিস থেকে প্রাপ্ত ইমনের নাম্বারে কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষককে কল করা হলে তিনি সোহেল রানাকে চিনেন না বলে জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষার সময় সন্দেহের ভিত্তিতে সোহেলের বাবা-মায়ের নাম জানতে চায় হল পরিদর্শক। এছাড়া, সার্টিফিকেট অনুযায়ী তার পরিচয় সঠিকভাবে দিতে পারেনি সে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি পরীক্ষায় প্রক্সির কথা স্বীকার করেন। তাকে এখন আমাদের আসামী সেলে রাখা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতকে জানিয়েছি। বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে মোবাইল কোর্ট বসবে। কোর্টের রায়ই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।