পাবনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে করোনার টিকা ও পরিচয়পত্রের জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। জেলার সুজানগর উপজেলার দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মির্জা রাশিদুল কবিরের বিরুদ্ধে এ মামলা হয়েছে। টাকা নেওয়ার ঘটনা আবেদনের প্রেক্ষিতে বিভাগীয় তদন্ত শেষে গত সপ্তাহে এ মামলা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সুজানগরের আহমেদপুর ইউনিয়নের ৭নং দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ইউনিক আইডি কার্ড ও করোনার টিকার জন্য জনপ্রতি ৫০ টাকা ও ৩০ টাকা করে মোট ৮০ টাকা প্রধান শিক্ষক মির্জা রাশিদুল কবির চাঁদা নেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিভাবকরা অভিযোগ একটি করেন। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা শিক্ষা অফিস ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি কমিটি সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন রাজশাহী বিভাগীয় অফিসে প্রেরণ করেন। তদন্ত প্রতিবেদনের প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়।
এ বিষয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুশতাক আহমেদ বলেন, আমরা প্রাথমিক ভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন রাজশাহী প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে প্রেরন করি। এটির মামলা চলমান রয়েছে। ডিডি স্যার মামলাটি দেখছেন।
রাজশাহী প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক শেখ মো: রায়হান উদ্দিন বলেন, প্রধান শিক্ষকের টাকা আদায়ের ঘটনা সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালা পরিপন্থী। সেক্ষেত্রে বিভাগীয় মামলা রজু করা হয়েছে। মামলাটি চলমান রয়েছে। মামলা চলা অবস্থায় এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়, তবে মামলার ফলাফল হলে আপনারা জানতে পারবেন।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মির্জা রাশিদুল কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি, তবে তিনি স্থানীয় রাজনীতির স্বীকার বলে দাবি করেন।