মঙ্গলবার , ১১ এপ্রিল ২০২৩ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. উদ্যোক্তা
  4. ক্যাম্পাস
  5. খেলাধুলা
  6. নারীমঞ্চ
  7. ফেসবুক থেকে
  8. বিএনপি
  9. বিচিত্র
  10. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  11. বিনোদন
  12. মতামত
  13. মুক্ত মতামত
  14. রাজধানী
  15. রাজনীতি

বিনাটিকিটের যাত্রী ঠেকাতে কমলাপুরে বাঁশের বেড়া

প্রতিবেদক
sagor
এপ্রিল ১১, ২০২৩ ১০:৫০ অপরাহ্ন

ঈদযাত্রার আগাম টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। আগের চার দিনের মতো এদিনও টিকিট পেতে অনলাইনে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। এবারের ঈদের রেলওয়ের নতুন সংযোজন, বিনাটিকিটের যাত্রী ঠেকাতে স্টেশন ঘিরে বাঁশের বেড়া।

প্রতি বছরই ঈদযাত্রার ট্রেনে বিপুল সংখ্যক যাত্রী উঠেন। কামরার ভেতরে গাদাগাদি দাঁড়িয়ে যান বিনাটিকিটের যাত্রীরা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরা এবং কেবিনেও ওঠেন তারা। ছাদে, ইঞ্জিনের সামনে, দরজায় দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করেন বাদুরঝোলা হয়ে। রেলের কর্মীরাও টাকা নিয়ে বিনাটিকিটের যাত্রী তোলেন। এতে টিকিটের যাত্রীরা পড়েন ভোগান্তিতে।

রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী জানান, টিকিটের যাত্রীদের স্বচ্ছন্দ্যে ভ্রমণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র টিকিটের যাত্রীরাই ট্রেনে চড়বেন। টিকিট দেখিয়ে স্টেশনে প্রবেশ করতে হবে।

আগের বছরগুলোতে বিমানবন্দর, টঙ্গী ও জয়দেবপুর স্টেশনে ট্রেন আটকে বিনাটিকিটের যাত্রী উঠার নজির রয়েছে। এবার তা ঠেকাতে মঙ্গলবার ঢাকার কমলাপুর স্টেশনের চত্বরের বাইরে বাঁশের বেড়া দিয়ে প্রবেশপথ তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে লাইন করে ঢুকতে হবে যাত্রীদের। প্রবেশের আগে দেখাতে হবে টিকিট। বিমানবন্দর স্টেশনেও ফাঁকফোকড় বন্ধ করেছে রেল।

এদিকে মঙ্গলবার বিক্রি হয় ২১ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২২ এপ্রিল ঈদ। তাই আগের দিনের টিকিটই ঈদযাত্রার শেষ ট্রেনের টিকিট। এ কারণে আগের চার দিনের তুলনায় গতকাল টিকিটের জন্য চাপ ছিল সবচেয়ে বেশি। ট্রেনের টিকিট বিক্রির দায়িত্বে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন্ট জেভির ভাইস প্রেসিডেন্ট যুবায়ের হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টায় টিকিট বিক্রি শুরু হয়। প্রথম আধা ঘণ্টায় আড়াই কোটি হিট হয়েছে তাদের সার্ভারে।

এ বছর ঈদযাত্রায় ট্রেনের সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। আগের দিনগুলোর মতো মঙ্গলবারও বহু যাত্রী ভোগান্তির কথা ফেসবুকে রেল সংক্রান্ত নানা গ্রুপে লিখেছেন। জহিরুল ইসলাম নামে এক যাত্রী সমকালকে জানান, ২১ এপ্রিলের ঢাকা-ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ রুটের ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’-এর ফার্স্ট চেয়ারের (কেবিন) টিকিট পেয়েছিলেন। কয়েকবারের চেষ্টায় পেমেন্ট অপশন পর্যন্ত যেতে পারেন। কিন্তু পেমেন্টের সময় ভেরিফিকেশন কোড আসেনি। তাই টিকিট কিনতে পারেননি।

মঙ্গলবারও উত্তরবঙ্গগামী এক্সপ্রেস তথা আন্তঃনগর ট্রেন ‘দ্রুতযান’, ‘একতা’, ‘পঞ্চগড়’, ‘নীলসাগর’, ‘রংপুর’, ‘কুড়িগ্রাম’, ‘সিল্কসিটি’ ‘বনলতা’ এবং ‘পদ্মা’র টিকিট বিক্রি শুরু ও কয়েক মিনিটেই ফুরিয়েছে। ময়মনসিংহ হয়ে চলা ‘যমুনা’, ‘তিস্তা’, ‘ব্রহ্মপুত্র’, ‘অগ্নিবীণা’, ‘হাওর’ এবং ‘মোহনগঞ্জ’সহ ঈদের বিশেষ আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটের ছিল একই দশা। বহু যাত্রী লিখেছেন, টিকিট দেখালেও ‘বুক নাউ’ অপশন কাজ করছিল না। টিকিট বুক করতে পারলেও ‘পারচেজ কন্টিনিউ’ অপশন অকার্যকর দেখাচ্ছিল। এ ধাপ পেরুতে পারলেও দাম পরিশোধ করতে না পারায় টিকিট পাননি। আগের দিনগুলোতে ঢাকা থেকে দক্ষিণবঙ্গগামী ট্রেনগুলোতে বিক্রি শুরুর কয়েক ঘণ্টা পর টিকিট থাকলেও মঙ্গলবার তা দ্রুত ফুরায়।

তবে বিপরীত চিত্র ছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ট্রেনগুলোতে। ২১ এপ্রিলের রাতের ‘মহানগর’ এবং ‘তূর্ণা এক্সপ্রেস’-এর অধিকাংশ টিকিট মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকেও অবিক্রীত ছিল। ঢাকা-সিলেট রুটের চারটি ট্রেনেও অল্প কিছু টিকিট অবিক্রীত ছিল একই সময়ে।

সর্বশেষ - ক্যাম্পাস