‘বিদায়’ ক্যাপশন ও ভাঙা চশমার ফ্রেমের ছবি গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক নাবিল হায়দার (২৬)। আজ শুক্রবার সকালে বন্ধুর বাসায় মিলল তাঁর লাশ। নাবিল ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশন ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন।
নাবিলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাবিলের মৃত্যুর ব্যাপারটি জানতে পেরেছি। সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তাঁর জানাজা হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।’
নাবিল হায়দারের গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নে। তাঁর বাবার নাম জসিমউদ্দীন হায়দার। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বড় মানিকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
নাবিল হায়দারের বড় ভাই তাওসিফ উদ্দিন তনয় বলেন, ‘গতকাল নাবিলের ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে তাঁর সঙ্গে দেখা করি। সে খিলগাঁওয়ে এক বন্ধুর বাসায় ছিল। তাকে নিয়ে আসতে চাইলে সে অস্বীকৃতি জানায়। পরে তার বন্ধুরাও আমাকে আশ্বস্ত করে, তারা আছে সমস্যা নেই। রাত সাড়ে ৮টার সময় আমি সেখান থেকে চলে আসি। ভোররাতে তার এক বন্ধু ফোন করে জানায়, নাবিল অচেতন হয়ে পড়েছে। অচেতন অবস্থায় সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
এদিকে নাবিল হায়দারের চাচাতো ভাই মইনুল হক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সহিত জানাচ্ছি, চাচাতো ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী মুখ নাবিল হায়দার হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভোর ৪টায় মারা গেছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। জানাজা আগামীকাল সকাল ১০টায় মানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। মহান আল্লাহ পাক নাবিলের ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতবাসী করুন (আমিন)।’