রাজধানীর কারওয়ান বাজারে তদারকিমূলক অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে ভোক্তা অধিকারের টিমের সদস্যরা বাজারে দ্রব্যমূল্য সঠিক রয়েছে কি না তা নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযান শেষে তিনি বলেন, আমরা আজ তদারকি অভিযানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। বাজারে সরবরাহের কোনো কমতি নেই। এরপরও যদি কেউ কারসাজি করে দাম বাড়ায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় ক্রেতাদের উদ্দেশে ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, রমজান মাস আসছে। ক্রেতাদের বলব, দয়া করে এক মাসের বাজার একসঙ্গে করবেন না। আপনারা ১০ দিনের বা এক সপ্তাহের বাজার করেন। হঠাৎ বেশি পণ্য কিনলে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়। এই কৃত্রিম সংকটকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা ফায়দা লুটে।
তিনি বলেন, রমজান উপলক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করছে। আমরা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিত্যপণ্যের বাজার, বিশেষ করে রমজানকেন্দ্রিক পণ্যের মূল্য ও সরবরাহ ঠিক আছে কি না তা দেশব্যাপী যাচাই করছি। আজ কারওয়ান বাজারের মুদি ও মুরগির বাজার তদারকি করা হয়েছে। তদারকিতে দেখা গেছে, রমজানকেন্দ্রিক যেসব পণ্য রয়েছে যেমন— ছোলা, চালের দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও অন্যান্য পণ্যের দামও বাড়েনি বলে তারা জানিয়েছেন।
এর আগে অভিযানে আল্লাহর দান ফল ভান্ডার নামের এক দোকানের মালিককে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। করমচাতে রঙ লাগিয়ে চেরি ফল হিসেবে বিক্রির অভিযোগে দোকানটিকে এ জরিমানা করা হয়। এছাড়াও মুরগির বাজারের প্রতিটি দোকানের মূল্য তালিকায় ব্রয়লার মুরগির দাম ৫ টাকা কমানোর নির্দেশনা দেওয়া হয় অভিযান থেকে।
অভিযানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডলসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা অংশ নেন।