বাগেরহাটে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক প্রকৌশলী এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালামসহ অন্তত ২৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিএনপির পদযাত্রা শেষে তাদের আটক করা হয়। তবে সংবাদ সম্মেলনে ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। পুলিশ বলছে ২০ থেকে ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটক অন্যদের মধ্যে রয়েছেন বাগেরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ শাহেদ আলী রবি, বিএনপি নেতা হাজরা জাহিদুল ইসলাম পান্না, যুবদল নেতা আইয়ুব আলী মোল্লা বাবু, জয়নুল পারভেজ সুমন।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানায়, আজ সকাল ৯টায় শহরের পুরাতন বাজার মোড় এলাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পদযাত্রা শুরু করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেখানে পুলিশ কর্মসূচি পালন করতে বাধা দেয়। পরে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালামের মুনিগঞ্জস্থ বাড়িতে অবস্থান নেন কৃষিবিদ শামীম, এম এ সালামসহ অন্য নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়।
অন্যদিকে পুরাতন বাজার এলাকা থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক প্রকৌশলী এটিএম আকরাম হোসেন তালিমকে আটক করে পুলিশ।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছেন। পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধার প্রতিবাদ ও আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বেলা ১১টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. ওবায়দুল ইসলাম। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পদযাত্রা বানচাল করতে পুলিশ গতরাত থেকেই আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি করে। আর সকালে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করে। আমাদের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দসহ ৪০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। এটা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার শামিল। অতিদ্রুত এসব নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। এছাড়া সারাদেশে নেতাকর্মীদের আটক ও দমন পীড়নের প্রতিবাদে ৪ মার্চ সকল মহানগরের প্রতিটি থানায় পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় এই নেতা।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আছাদুজ্জামান বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলের পক্ষ থেকে বাগেরহাটে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদেরকে কর্মসূচি পালন না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলাম। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি বিএনপির নেতাকর্মীরা নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। এজন্য আমরা বিএনপির কয়েকজনকে আটক করেছি। আটকের সংখ্যা ২০ থেকে ২৫ জনের মত হবে। আমরা যাচাই-বাছাই করছি, পরে আরও জানানো হবে।