বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, মিথ্যুকের দল হলো বিএনপি, মিথ্যাচারই তাদের সম্পদ। আওয়ামী লীগ যখন উন্নয়নের মধ্যদিয়ে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশের পথে, অথচ বিএনপির নেতাকর্মীরা তখন উন্নয়ন দেখে না, শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র করে মির্জা ফখরুলরা। তারা দেশটাকে শ্রীলঙ্কা দেখতে চায়। দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা আজগুবি তথ্য পরিবেশনে ব্যস্ত।
তারা এমনভাবে মিথ্যা কথা মিডিয়ার সামনে বলে, যেন সত্য বলছেন কিন্তু বলছেন সব মিথ্যা কথা। মির্জা ফখরুল রাজাকারের সন্তান। ফখরুলের বাবা ছিলেন পীচ কমিটির নেতা, স্বাধীনতার পর ভারতে লুকিয়ে ছিলেন। ১৯৭৫ সালের পর ফিরে আসে দেশে। সেই রাজাকারের সন্তান আজ বিএনপির নামক দলের মহাসচিব।
বিএনপি রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধীদের দল। ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসা দল। তারা ক্ষমতায় আসলে দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করে। তাদের দলের চেয়ারপার্সন দুর্নীতির মামলায় জেলে। আর হাওয়া ভবনের প্রণেতা রাজনীতি করবে না এমন মুচলেক দিয়ে দেশের বাইরে। দেশের বাইরে থেকে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রংপুর টাউনহল পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসে তখন খালেদা জিয়া বলছিলো বাংলাদেশ ভারত হয়ে যাবে, দেশের সর্বত্র উলুধ্বনি দিবে। অথচ শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বিশ্ব আদালতে মামলা করে ভারত, মিয়ানমার থেকে সমুদ্র জয় করে। সরকারি অর্থায়নে একযোগে সারাদেশে মডেল মসজিদ নির্মাণ করেন।
এই সরকার দেশীয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে পদ্মা সেতু বানায়, মেট্রোরেল করে, কর্ণফুলি টানেল নির্মাণ করে। করোনাকালীন সময়ে বিশ্বের নামী দামী দেশ যখন দিশেহারা তখন বাংলাদেশ সবার আগে করোনার টিকার ব্যবস্থা করে, দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখে। সেই উন্নয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের ভালো লাগে না, বিএনপি আজকে গণতন্ত্রের কথা বলছেন, অথচ তারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে দল গঠন করে। স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেয়। আমাদের সময় এসেছে রাজাকারের দল বিএনপিকে চূড়ান্তভাবে বয়কট করা।
বিএনপি আজকে ভোট চুরির কথা বলে, অথচ তারাই মাগুড়ার নির্বাচনের মাধ্যমে ভোট চুরি শুরু করে। তত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে এ দেশে আর নির্বাচন হবে না। সেই সুযোগ নেই। আন্দোলন যতই করুক কাজে আসবে না। শেখ হাসিনা সরকার ও তত্বাবধায় সরকার ছাড়াই তাদের নির্বাচন করতে হবে। এবার বিএনপি নির্বাচনে না আসলে তাদের দলের নেতাকর্মীরাই তাদের খবর করবে। তাই এখনও সময় আছে, নির্বাচনে আসেন। আপনাদের জনপ্রিয়তা থাকলে নির্বাচনে আসুন। জনপ্রিয়তা যাচাই করুন।
শান্তি সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাড. সফুরা বেগম রুমিসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের আহবায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন। সঞ্চালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাশেম ও জেলার যুগ্ম আহবায়ক মাজেদ আলী বাবুল। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ছায়াদত হোসেন বকুল। শান্তি সমাবেশে রংপুর জেলার বিভিন্ন থানা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা অংশ নেন।