কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে আমিরুল হক ওরফে আমরুদ মিয়া (৭০) কে হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে অতিরিক্ত আরো দুই মাসের সাজা প্রদান করেছেন বিচারক। মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আসামির নাম কুদ্দুছ মিয়া (৫১)। তিনি বাজিতপুর উপজেলার হালিমপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কুতুবপুর গ্রামের শেখ ফালু মিয়ার ছেলে।
এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ছয়জন হচ্ছেন, মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত কুদ্দুছ মিয়ার বড় দুই ভাই আবুল কালাম (৬১) ও ধনু মিয়া (৫৬), ফুকন মিয়া (৩১), নিকুল মিয়া (৩৪), মুকুল মিয়া (৫৪) এবং সোনাহর (৫১)। তারা সবাই পশ্চিম কুতুবপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে ফুকন মিয়া রায় ঘোষণার সময় পলাতক ছিলেন। অন্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে নিহত আমিরুল হক ওরফে আমরুদ মিয়া পশ্চিম কুতুবপুর গ্রামের মৃত কালু মিয়ার ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর রাতে বাজিতপুর উপজেলার পশ্চিম কুতুবপুর গ্রামের নিজ বাড়ির ঘরের ভিতরে কৃষক আমিরুল হক ওরফে আমরুদ মিয়াকে পিটিয়ে ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পরের দিন ১১ অক্টোবর নিহত আমিরুল হক ওরফে আমরুদ মিয়ার ছেলে মো. শরীফ মিয়া বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাজিতপুর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম ২০১৬ সালের ১ মার্চ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ভারপ্রাপ্ত পিপি এডভোকেট আবু সাঈদ ইমাম এবং আসামিপক্ষে এডভোকেট শহিদুল ইসলাম খসরু মামলাটি পরিচালনা করেন।