ভুয়া বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নামে জমি ক্রয়-বিক্রয় এবং ভূমি উন্নয়ন কর ফাঁকি রোধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ‘যৌথ-মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর’ (আরজেএসসি)-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে ভূমিসেবা সিস্টেম এবং আরজেএসসি সিস্টেমের মধ্যে আন্তঃসংযোগ এবং সমন্বয় স্থাপন হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কাগুজে কিংবা ভুয়া যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মের নাম দেখিয়ে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে বেআইনি কাজ করার অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। এছাড়া অনেক সময় দেখা যায় ‘বাণিজ্যিক কিংবা শিল্প কাজে ব্যবহৃত জমি’ ভূমি উন্নয়ন কর ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে দলিলাদিতে ‘আবাসিক ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত জমি’ দেখিয়ে তাতে লাভজনক বৃহৎ ব্যবসা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে। এর ফলে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয় রাষ্ট্র।
এতে বলা হয়, বিভিন্ন ভূমিসেবা যেমন ই-নামজারি কিংবা ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনায় আরজেএসসি এখতিয়ারভুক্ত কোম্পানি কিংবা প্রতিষ্ঠানের প্রযোজ্য তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ হওয়ার ফলে এখন ভুয়া ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে জমি ক্রয়-বিক্রয় এবং ভূমি উন্নয়ন কর ফাঁকি রোধ করা সম্ভব হবে। ফলে সরকারের কোষাগারে ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ অতিরিক্ত বিপুল পরিমাণ রাজস্ব জমা হবে, যা এতদিন হতো না।
এছাড়া ভূমি এবং আরজেএসসি সিস্টেমের স্বয়ংক্রিয় আন্তঃসংযোগ ব্যবস্থার কারণে ই-নামজারি করার সময় করণিক ভুল হবে না, কারণ আরজেএসসি সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য যাচাই করা হবে সংশ্লিষ্ট নামজারির আগে, উল্লেখ করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।