মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও দেশে আরো চারটি ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট) মেয়াদ দুই বছর করে বাড়িয়েছে সরকার। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফার্নেস তেলভিত্তিক এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৩০০ মেগাওয়াট।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকায় কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মধ্যে ঢাকার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত পাওয়ার প্যাক লিমিটেড ও চট্টগ্রামের অ্যাক্রন ইনফ্রাস্ট্রাকচার সার্ভিসেসের উৎপাদন ক্ষমতা ১০০ মেগাওয়াট করে। রাজশাহীর নর্দার্ন পাওয়ার সলিউশন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনহা পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫০ মেগাওয়াট করে।
পাঁচ বছর মেয়াদি এই চারটি কেন্দ্র ২০১০ সালে উৎপাদনে আসে। এরপর তাদের মেয়াদ আরো পাঁচ বছর বাড়ানো হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে এগুলোর মেয়াদ শেষ হয়। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই উদ্যোক্তারা পাঁচ বছর মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করে। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ‘নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট’ বা ‘বিদ্যুৎ না কিনলে অর্থ পরিশোধ নয়’ ভিত্তিতে চারটি কেন্দ্রের মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোর সুপারিশ করে বিদ্যুৎ বিভাগ।
জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে সরকার ২০১০ সালে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোর বিশেষ আইন পাস করে। এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়াতে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে নতুন আইন করা হয়।
ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন নিরুৎসাহিত করা হলেও বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ বাড়ল কোন যুক্তিতে, এ বিষয়ে বৈঠকের সভাপতি কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের কিছু জানাননি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল বারিক সাধারণত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে থাকেন। তিনিও আজ তা করেননি।