শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
spot_img
Homeসারা বাংলাপাম্পে প্রেমিকাকে জিম্মায় রেখে পেট্রোল নিলেন প্রেমিক

পাম্পে প্রেমিকাকে জিম্মায় রেখে পেট্রোল নিলেন প্রেমিক

বাগেরহাটের রামপালে ফিলিং স্টেশন থেকে পেট্রোল নিয়ে কিশোরী প্রেমিকাকে জিম্মায় রেখে পালানোর ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে প্রেমিকার বাবা বাদী হয়ে রামপাল থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

নাম প্রকাশ্য অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, রামপাল উপজেলার গাববুনিয়া গ্রামের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরী গেল ২৬ জুন ব্যাগ নিয়ে বিদ্যালয়ে যায়। ওই দিন দুপুর ১২টার সময় বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তার ওপর পেন্সিল কেনার জন্য দোকানে যায় সে। এ সময় বাছাড়েরহুলা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে নাজমুল ইসলাম সজিব (১৮) ওই কিশোরীকে ভয়ভীতি ও ফুসলিয়ে তার সঙ্গে বেড়াতে যেতে বলে। এতে সায় দিয়ে ওই কিশোরী বখাটে সজীবের সঙ্গে তার ভাড়া করা মোটরসাইকেল উঠে বেড়াতে যায়। ভাগা বাজার এলাকায় গিয়ে মোটরসাইকেলের তেল ফুরিয়ে যায়।

এরপর বখাটে নাজমুল স্থানীয় একটি ফিলিং স্টেশনে গিয়ে মোটরসাইকেলে পেট্রোল নেয়। এ সময় টাকা দিতে না পারায় টাকার বদলে ওই ছাত্রীকে জিম্মায় রেখে টাকা নিতে বাড়িতে চলে আসে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও ওই কিশোরী বাড়িতে না ফেরায় তার বাবা-মা চিন্তিত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা স্কুলে খোঁজ নেন। সেখান থেকে জানানো হয় তার মেয়ে স্কুলে ব্যাগ রেখে বাইরে গিয়ে আর ফেরেনি। পরে খুঁজতে গিয়ে ওই ফিলিং স্টেশনে তাকে পাওয়া যায়। সেখান থেকে তাকে নিয়ে আসতে গেলে তারা তেলের মূল্য পরিশোধ করলে কিশোরীকে ফেরত পাবে বলে জানানো হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে টাকা দিয়ে কিশোরীকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে তার বাবা।

এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। মীমাংসার সময় প্রতিপক্ষ চড়াও হয়ে মেয়ের বাবাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করেন। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে রামপাল থানায় গাববুনিয়া গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, বখাটে নাজমুল ইসলাম সজীব, মল্লিক মনিরুল ইসলাম ও ফয়সাল মল্লিকদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে রামপাল থানার ওসি সোমেন দাশ জানান, তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পর্যালোচনা সংক্ষিপ্ত বিবরণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন