রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সিট দখল নিতে আবাসিক শিক্ষার্থীর বিছানাপত্র বের করে দিয়ে কক্ষ ছাড়ার হুমকি দিয়েছে হল ছাত্রলীগের নেতারা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলে ওই শিক্ষার্থীকে সিটে তুলে দিয়েছে হল প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মাহতাব উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
অভিযুক্তরা হলেন- শামসুজ্জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংস্কৃত বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মোমিন ইসলাম এবং হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খন্দকার শাহরিয়ার সৌরভ।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, তিনি ওই হলের ১৫৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। সম্প্রতি ৩২৬ নম্বর কক্ষ পুনরায় বরাদ্দ দেন প্রাধ্যক্ষ। সেখানে অবস্থান করছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিন ইসলাম সদলবলে এসে আমার বিছানাপত্র বাহিরে বের করে দেন এবং সিট ছাড়ার হুমকি দেন। তারপর প্রধ্যক্ষের নিকট অভিযোগ দেই।
অভিযোগের ব্যাপারে মোমিন ইসলাম বলেন, একটু ভুল বুঝাবোঝি হয়েছিল। তখন-ই সব মীমাংসা হয়েছে। ওই সিটে ছাত্রলীগের এক কর্মী ছিল, তাকে তোলার চেষ্টা করা হয়েছিল।
জানা গেছে, এ ঘটনায় প্রাধ্যক্ষ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মহতাব। এ ঘটনায় সন্ধ্যা হল প্রশাসন জরুরি সভা করে আবাসিক শিক্ষার্থী মহতাবকে সিটে তুলে দেন।
এ ব্যাপারে শামসুজ্জোহা হলের প্রাধ্যক্ষ ইকরামুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। মাহতাবকে তার বরাদ্দ পাওয়া সিটে তুলে দেয়া হয়েছে।’