আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শ্যামাপূজা ও দীপাবলি উদযাপিত হবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের মাধ্যমে ভক্তের জীবনে কল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে পৃথিবীতে আগমন ঘটে দেবী শ্যামা বা মা কালির। বেশিরভাগ দেব-দেবীর পূজা দিনে হলেও কার্তিকী অমাবস্যায় রাতে হয় শ্যামাপূজা। শ্যামাপূজার সন্ধ্যায় মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে দীপাবলি উদযাপনের জন্য প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়।
মৃত স্বজনদের মঙ্গল কামনায় প্রদীপ জ্বালিয়ে পানিতে ভাসায় অনেকেই। রাতে দেবীর পূজার পাশাপাশি অঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, আরতি, ধর্মীয় সংগীত, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোকসজ্জাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি থাকে।
ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে কেন্দ্রীয়ভাবে শ্যামাপূজা উদযাপিত হবে। মন্দির মেলাঙ্গনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় দীপাবলির সহস্র প্রদীপ প্রজ্বলন ও রাতে পূজা হবে।
শ্যামা পূজা ও দীপাবলি উপলক্ষে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত দেব ও সাধারণ সম্পাদক তাপস পাল। বুধবার (৩০ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, শ্যামা দেবী শান্তি, সংহতি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামের প্রতীক।
শ্যামাপূজাই দীপাবলি বা দিওয়ালি নামে পরিচিত। দেবাসুরের যুদ্ধে পরাজিত দেবগণের স্তুতিতে আদ্যাশক্তি ভগবতীর দেহকোষ থেকে দেবী কৌশিকী আবির্ভূত হন। শ্যামাপূজায় সাধারণত পাঁঠা, ভেড়া বা মহিষ বলি দেওয়া হয়।
রাজধানীর শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, সূত্রাপুরসহ পুরান ঢাকার অনেক এলাকায় বেশ ঘটা করে শ্যামাপূজা হয়। এছাড়া গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, রমনা কালীমন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রম, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, পোস্তগোলা শশ্মান, লালবাগ শশ্মান, ঠাটারীবাজার শিবমন্দিরসহ বিভিন্ন স্থানে শ্যামাপূজা হবে।