রাজবাড়ীর কালুখালীতে মঙ্গল চন্দ্র হত্যা মামলায় সাওরাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে কালুখালী উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছে কালুখালী থানার ওসি জাহেদুর রহমান।
তিনি জানান, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে দুর্বৃত্তরা কালুখালী উপজেলার লাড়িবাড়ী গ্রামের যতীন্দ্রনাথের ছেলে মঙ্গল চন্দ্রের (৬৫) বাড়িতে ঢুকে তার দুই পা ও একটি হাত ভেঙে দেয়। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার পরিবারের অন্য সদস্যদের মারধর ও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় মঙ্গল চন্দ্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কালুখালী থানার ওসি জানান, এ ঘটনায় মঙ্গল চন্দ্রের ছোট ছেলে কুমারেশ চন্দ্র বাদী হয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কালুখালী থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ ও ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার আসামিরা হলেন, বিপুল প্রামাণিক, মো. গফুর, রফিক মণ্ডল, মুকিম মণ্ডল, আকিদুল মণ্ডল ও আলী।
তিনি জানান, এ মামলায় এজাহার নামীয় ৩ নম্বর আসামি রফিক মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি গত ১৪ মার্চ রাজবাড়ীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেনের কাছে মঙ্গল চন্দ্র হত্যা মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ সময় তিনি জানান, উপজেলার সাওরাইল ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আলীর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ১১ জন মিলে হত্যা করা হয় মঙ্গল চন্দ্রকে। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করার কার্যক্রম চলছে।