নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আতাউর রহমান আফতাবকে কুপিয়ে আহতের ঘটনায় বুধবার দু’পক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক মহিলাসহ আহত হয়েছেন ১৫ জন। বুধবার সকাল ১০টার দিকে কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বিগত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›দ্বীতার জের ধরে কালিয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন পিকুলের সাথে কাঞ্চনপুর গ্রামের বাসিন্দা কালিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান আফতাবের দ্বদ্ব চলে আসছিল। ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পিকুলের কাছে হেরে যান আফতাব। এ নিয়ে দু’নেতার মধ্যে দ্ব›দ্ব আরও চরমে ওঠে। আফতাবের ভাষ্য, রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে কাঞ্চনপুর জাহাঙ্গীর মুন্সির বাড়ির সামনে পৌঁছালে ওৎ পেতে থাকা চেয়ারম্যান মোজাম্মেলের লোকজন কুপিয়ে তার বাম হাত বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে আহত আফতাবের সমর্থক নুরু মুন্সীর স্ত্রী জাহিদা বেগমকে তার বাড়িতে গিয়ে চেয়ারম্যান পিকুলের লোকজন বেদম প্রহর করে। এদিকে জাহিদাকে মারধরের ঘটনা গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে দু’গ্রুপের মধ্যে ঢাল, সড়কি, দা, ভেলা, টেটা নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় দু’পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদের কালিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
কালিয়া থানার ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন বলেন, আফতাবকে জখমের ঘটনায় মামলায় মামলা হয়েছে। এ মামলার দু’ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত। এলাকার আধিপত্য নিয়ে এ দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান।