ম্যাচের ফলাফল যেনো কোনক্রমেই মানতে পারছেন না জাভি হার্নান্দেজ। কী করে মানবেন? ৪-২ অ্যাগ্রিগেটে এগিয়ে ছিলেন। সেখানে থেকে কিনা আরও চার গোল হজম করে বাদ পড়লেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। কদিন পরেই বিদায় জানাবেন প্রাণের প্রিয় ক্লাবকে।
২০১৫ সালে যখন বিদায় নিয়েছিলেন, তখন ক্লাবকে রেখে গিয়েছিলেন সাফল্যের শীর্ষে। তার অধিনায়কত্বেই তো বার্সা জিতেছিল নিজেদের সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা। এরপর কোচ হয়ে ফিরে পেলেন এক বিধ্বস্ত ঘর। সেই দলকে লিগ শিরোপা জেতান গেল বছর। এবার সম্ভাবনা ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে নেয়ার। কিন্তু পিএসজির কাছে হেরে সেই স্বপ্ন হলো শেষ।
হারটা হয়ত জাভি মেনে নিতেন, যদি রেফারি নিয়ে বিতর্ক না থাকতো। কিন্তু বার্সা-পিএসজির দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ শেষে আলোচনার কেন্দ্রে তো রোমানিয়ান রেফারি ইস্তভান কোভাকস! ২৯ মিনিটে বার্সার রক্ষণের নেতা রোনাল্ড আরাউহোকে সরাসরি লালকার্ড দেখিয়েছেন।
এরপর ৬৪ মিনিটে ভিএআর দেখেও বার্সার পেনাল্টি আবেদন নাকচ করেছেন। সেই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ছিলেন জাভি। রেফারি এরপর তাকেও লাল কার্ড দেখিয়েছেন। সঙ্গে ছিলেন গোলরক্ষক কোচ রোমান দে লা ফুয়েন্তেকে।
ম্যাচ শেষে তাই ইস্তভান কোভাকসের ওপর রাগ উগড়ে দিয়েছেন জাভি, ‘আমরা ক্ষুব্ধ। লাল কার্ডটাই ক্ষতি করেছে। ১১ বনাম ১১ অবস্থায় আমরা ভালোই সংগঠিত ছিলাম। এটাই পুরোপুরিভাবে সবকিছু বদলে দিয়েছে। আমার মতে, আরাউহোকে লাল কার্ড দেখানো বাড়াবাড়ি ছিল।’
ম্যাচ হারের পেছনে আরাউহোর লাল কার্ডকেই বড় করে দেখছেন তিনি, ‘১০ জনে পরিণত হওয়া ভালো ব্যাপার নয়। সেই মুহূর্ত থেকেই এটা ভিন্ন একটা ম্যাচ হয়ে যায়। ম্যাচটা কথা বললে আমরা বুঝব যে সেটাই আসলে সবকিছুর নির্ধারক ছিল।’
এমনকি ম্যাচের শেষে রেফারিকে ডেকে তাকে কড়া কথা শোনাতেও ছাড়েননি জাভি, ‘রেফারিটা সত্যিই বাজে ছিল। আমি তাকে বলেছি, সে বিপর্যয় ডেকে এনেছে। সে লড়াইটাকে শেষ করে দিয়েছে। আমি রেফারিকে নিয়ে কথা বলা পছন্দ করি না, কিন্তু এটা বলতেই হবে।’
রেফারিং নিয়ে ক্ষুব্ধ জাভি দ্বিতীয়ার্ধে বিজ্ঞাপনী বোর্ডে লাথি মেরে নিজেও লাল কার্ড দেখেছেন। যদিও সেটাকে ঠিকই মেনে নিয়েছেন সাবেক এই মিডফিল্ড মায়েস্ত্রা। নিজের লাল কার্ড নিয়ে জাভি বলেন, ‘সেটা আমার ভুল ছিল। দোষটা আমারই।’